আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্য বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার। নারায়নগঞ্জ, শরীয়তপুর, ঢাকা ও ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। এরা সকলেই দিনের বেলাতে শ্রমিকের ছদ্মবেশ নিয়ে থাকতো।
ঈদের ৩ দিন আগে গত ১৪ জুন রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গোসাই ভবুকদিয়া গ্রামের মাধুরী রানী সরকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তদন্তে নেমে এই তথ্য ও ডাকাতদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্য থেকে মো. কবির হোসেন, সাইফুল ইসলাম ওরফে সাঈদ (৩২) ও হৃদয়কে নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার এলাকা থেকে, মো. সাইফুল ইসলাম ও ফরহাদ হোসেনকে শরীয়তপুরের ডামুড্যা থানা এলাকা থেকে এবং আতিয়ার শেখ কে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরমানন্দপুর এলাকা থেতে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, এরা সকলেই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। এদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। এরা সকলেই ঢাকার যাত্রাবাড়িতে একত্রিত হয়। দিনের বেলা সবাই শ্রমিকের ছদ্মবেশ ধারন করে থাকে। রাতে যাত্রাবাড়ি থেকে একটি পিআপ ভাড়া নিয়ে টার্গেট করা জায়গায় গিয়ে ডাকাতি করে এবং রাতের মধ্যেই দ্রুত ওই জেলা ত্যাগ করে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ তারিখে এই ডাকাতদলের ১০/১২ জন সদস্য যাত্রাবাড়ি থেকে একটি পিকাপ ভাড়া নিয়ে ফরিদপুরে আসে ও মাধুরী রানির বাড়ির দরজা ভেঙ্গে দীর্ঘ সময় নিয়ে ডাকাতি করে। পরে পিকাপ যোগেই দ্রুত নারায়নগঞ্জ ফিরে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটির খবর পেয়ে পুলিশ মামলা নিয়ে দ্রুত তদন্তে নামে। এর আগে ১০ জুন ওই গ্রামের পাশের গ্রাম পরমানন্দপুরে আরেকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। আমাদের ধারনা ওই ডাকাতির সাথেও এই ডাকাতরা জড়িত।
পুলিশ সুপার আরো জানান, আটককৃতদের নামে দেশের বিভিন্ন জেলার থানায় ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে একাধীক মামলা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, এরা দিনে রাতে শ্রমিকের ছদ্মবেশে চলে, এতে দিনেতো সুবিধা পায়ই রাতেও পুলিশের চেকপোস্টে ধরা পরলে তারা নিজেদের মালামাল লোড আনলোড শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পার পেয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, আজই গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাদের প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানাবে পুলিশ।