কালকিনিতে বেদে পল্লিতে হামলার অভিযোগ

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৭:০১ আপডেট: ১৪ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৭:০১ এএম
কালকিনিতে বেদে পল্লিতে হামলার অভিযোগ
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খানের নেতৃত্বে বেদে পল্লিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট দেওয়ায় কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খানের নেতৃত্বে বেদে পল্লিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পরে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। গ্রেফতার হয়নি অপরাধীরাও। এ ঘটনার পর থেকে বেদে পল্লির শতাধিক পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। 

এই ঘটনায় শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বেদে পল্লির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো। সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন, মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকায় ভোট দেওয়ায় টানা দুই দিনে বেদে পল্লির ১৭টি বাড়ি ঘরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় ঘরবাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্জনা বেগম বাদী হয়ে ১০ জানুয়ারি ৪২ জনের বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগটি কালকিনি থানা পুলিশ মামলার রেকর্ড করেনি। গ্রেফতার করছেনা অপরাধীদেরও। এতে আতঙ্ক মধ্যে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেদ পল্লির বেশ কয়েকটি ঘরতে আহাজারি চলছে। ঘরবাড়ি তছনছ অবস্থায়, লুটপাট করা হয়েছে মূল্যবান জিনিসপত্র। এদিকে ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবারকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মাদারীপুরের কালকিনির চর ঠেঙ্গামারা গ্রামে কয়েকশ অস্ত্রধারী হামলা চালায় বেদে সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ১৭টি বসতঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে হতদরিদ্ররা।বেদে পল্লির সরদার মনির হোসেন জানান, একসঙ্গে কয়েকশ মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। ঘর থেকে সবকিছু নিয়ে গেছে। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি আসবাবপত্র, খাবারের চাল-ডালও বাদ পড়েনি। পা ধরে তাদের নিষেধ করলেও কেউ শোনেনি এই কথা। হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ সভাপতি বাকামিন খান ও তার ভাই রাশেদ খান। আমরা এর বিচার চাই।

তবে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বাকামিন খান। তিনি বলেন, আমি আসার আগেই দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। আমি থামানোর চেষ্টা করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়।

কালকিনি থানার ওসি (তদন্ত) মারগুব তৌহিদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য,মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে তাহমিনা বেগম জয়লাভ করেন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সোবহান গোলাপ বিপুল ভোটে পরাজিত হন।






এই বিভাগের আরোও খবর

Logo