এবারের নির্বাচনে যশোরের ৬টি আসনে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন ২৭ প্রার্থী। ৩১ প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেলেও শেষ মুহ‚তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৪ জন।
এদিকে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সাথে একটি সভা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক। শুক্রবার সকালে কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শেষ মুহ‚র্তে যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসন থেকে ১ স্বতন্ত্র প্রার্থী, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-বসুন্দিয়া) আসন থেকে ২ প্রার্থী ও যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন থেকে ১ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ৬টি আসনের ৮২৫টি কেন্দ্রের ৫২২১ কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবে ৮২৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৫২২১ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ১০ হাজার ৪৩৪ জন পোলিং অফিসার। এবারের নির্বাচনে জেলায় মোট ভোটার ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫ জন ও মহিলা ভোটার ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৩৫ জন।
যশোরের ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দিতায় থাকা ২৭ প্রার্থীরা হলেন, যশোর-১ (শার্শা) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন। এ ছাড়া এ আসনে আরো ২ জন প্রার্থী রয়েছেন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান, ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী প্রার্থী ফিরোজ শাহ ও টেলিভিশন প্রতীকে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী শামছুল হক। এ আসনে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম হাবিবুর রহমান নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন।
যশোর-৩ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের মোহিত কুমার নাথ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের প্রার্থী প্রার্থী মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোনালী আঁশ প্রতীকের কামরুজ্জামান, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী কুলা প্রতীকের মারুফ হাসান কাজল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের মাহবুব আলম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী নোঙ্গর প্রতীকের শেখ নুরুজ্জামান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী সুমন কুমার রায়।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর-বসুন্দিয়া) আসনে প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এনামুল হক বাবলু, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী সোনালী আঁশ প্রতীকের এম শাব্বির আহমেদ, মিনার প্রতীকের প্রার্থী ইসলামি ঐক্যজোটের ইউনুছ আলী ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহুরুল হক। এ আসন থেকে ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী রণজিত কুমার রায় ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী সুকৃতি কুমার মন্ডল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য্য, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকু আলী, জাতীয় পার্টির নাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এম এ হালিম ও ইসলামি ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী প্রার্থী হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী। এ আসনে নির্বাচন থেকে সড়ে গেছেন তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের প্রার্থী আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা।
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমপি শাহীন চাকলার, কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম আমির হোসেন, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে জিএম হাসান ।
শুক্রবার কালেক্টরেট সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার সভাপতিত্ব করেন। সভায় বলা হয়, ভোট চলাকালে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটতে দেয়া হবে না। নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। কোন সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ড ছাড় দেয়া হবে না। যদি কেউ এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সেনাবাহিনীর লে.কর্নেল মোস্তফা কামাল, যশোর-৪৯ বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল জামিল, র্যাব যশোরের মেজর সাকিব, জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ও অপস বেলাল হোসাইনসহ এনএসআই, ডিএসবির প্রতিনিধি ও আট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।