রাজনীতির মাঠে প্রকৃত পরীক্ষিত নেতৃত্ব তখনই চিহ্নিত হয় যখন দলে নামে দুর্দিনের ছায়া। আর ঠিক সেখানেই বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া — রাজবাড়ীর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও কৃষক দলের সহ সভাপতি পরিচিত মুখ, নির্ভরতার প্রতীক এবং কর্মীবান্ধব এক নেতা। গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য করে গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মজি বলেন, “দুর্দিনে যাকে বারবার পাশে পাই, সেই তো আমাদের প্রকৃত নেতা। এ্যাডভোকেট আসলাম মিয়ার মতো সাহসী, সংগ্রামী এবং ত্যাগী নেতা রাজবাড়ী-১ আসনের উপযুক্ত প্রতিনিধি হতে পারেন। আমরা তাকে আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “সাংগঠনিক দুর্বলতা কিংবা রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশ— কোনো কিছুই তাকে দমাতে পারেনি। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মাঠে-ময়দানে তিনিই ছিলেন নেতাকর্মীদের প্রথম আশ্রয়স্থল। এমনকি গ্রেফতার, মামলার ভয় বা দমন-পীড়নের সময়ও তিনি কখনো পিছু হটেননি।” বিএনপির মাঠের নেতা, কর্মীদের অভিভাবক এ্যাডভোকেট আসলাম মিয়া রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। তিনি বিএনপির নীতি ও আদর্শে অটল থেকেছেন এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। দলের দুঃসময়ে যখন অনেকেই রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছেন, তখন তিনি রাজপথে ছিলেন অনড়। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু সাঈদ মন্ডল জানান, “তিনি শুধু বক্তব্য দেন না, বাস্তব নেতৃত্ব দেন। তার মত মানুষের নেতৃত্বেই বিএনপি পুনরায় জনগণের আস্থা ফিরে পাবে। রাজবাড়ী-১ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষ রাজবাড়ী-১ আসনের মানুষও চান নতুন নেতৃত্ব, যিনি শুধু দলীয় নয়, এলাকাবাসীরও প্রকৃত প্রতিনিধি হতে পারেন। আসলাম মিয়ার প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসা তার প্রতি আস্থা তৈরি করেছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই তাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রার্থী হিসেবে বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মুসারফ হোসেন বলেন, “এলাকার জন্য তার দায়বদ্ধতা, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব এবং সর্বোপরি কর্মীদের প্রতি ভালোবাসা তাকে ব্যতিক্রমী করে তুলেছে। এমন নেতাকে আমরা ভোটে দেখতে চাই। চাওয়া একটাই — পরীক্ষিত নেতার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াক বিএনপি, নেতাকর্মীরা ‘রাজবাড়ী-১ আসনে এ্যাডভোকেট আসলাম মিয়াকে চাই’ এই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন। তারা বলেন, এই দুর্দিনেও যে নেতা রাজনীতিকে দায়িত্ব ও সেবার জায়গা থেকে দেখে যাচ্ছেন, তাকেই সময়ের দাবি হিসেবে সামনে আনা উচিত।