যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের শালিয়াট গ্রামের মাঠে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো(উফশী) ধানের সমলয় চাষাবাদের চারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সোমবার সকালে এ কার্যাক্রমের আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হুমায়ুন কবীর জানান, শালিয়াট গ্রামে ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে বোরো(উফশী) ধানের সমলয় চাষাবাদের চারা রোপন করা হবে। ট্রেতে বীজ রোপন করে চারা জন্মানো হয়েছে। সেই চারা মেশিনের মাধ্যমে ট্রে থেকে তুলে জমিতে রোপন করা হবে। চারার কোন ক্ষতি হবে না। ধানের ফলন ভাল হবে। আর জমিতে বীজ বোপন করে চারা জন্মালে সেটি মেশিন বাদে তুললে চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই চারা জমিতে রোপন করলে ফলন ভাল হয় না। মেশিনের বোরো ধানের চারা রোপন করলে ধান পাকা পর্যন্ত ১৪০ দিন সময় লাগবে। এপরবর্তিতে সেখানে অন্য ফসল চাষ করলে কোন সমস্যা হবে না। ১ লিটার তেলে আধা ঘন্টায় ১ বিঘা জমিতে চারা রোপন করা যাবে। ১৫০ বিঘা জমিতে এ মেশিনের মাধ্যমে ৬ হাজার ৫শ চারা রোপন করা হবে। এতে করে চাষাবাদের ক্ষেত্রে শ্রমিক সংকট হলে কাজে কোন সমস্যা হবে না। চাষের ব্যয় কমে যাবে না। এ প্রকল্পে ১৫০ জন কৃষককে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন এ প্রকল্পে মেশিনের মাধ্যমে কৃষকরা চাষ করলে লাভোবান হবেন। এতে করে চাষের কোয়ালিটি ও উপাদন ভাল হবে। অল্প খরচে তারা বেশি জমিতে চাষ করতে পারবে। এর মাধ্যমে নিজেরা উদ্যোক্তা তৈরি হয়ে কর্মস্ংস্থান সৃষ্টি করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারাণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক( শষ্য) সমরেন বিশ্বাস, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলী। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কৃষি প্রকৌশলী সুজাউল হক, উপসহকারী কৃষি অফিসার(নওয়াপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবু সায়াদ আরিফ, কৃষক জাবের হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হুমায়ুন কবীর।