নিয়ামতপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামানত হারাচ্ছেন ৬ প্রার্থী

সবুজ সরকার প্রকাশিত: ২২ মে , ২০২৪ ০৯:৫২ আপডেট: ২২ মে , ২০২৪ ০৯:৫২ এএম
নিয়ামতপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে  জামানত হারাচ্ছেন ৬ প্রার্থী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। এর মধ্যে ৬ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁর নিয়ামতপুর  উপজেলায় চেয়ারম্যানসহ তিনটি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৫ জন। এর মধ্যে ৬ প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে তাঁর জামা দেওয়া টাকা (জামানত) বাজেয়াপ্ত হবে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,  নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ছয়জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজনসহ মোট ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন  প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।  

নির্বাচনের ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ১১ হাজার ৭৫৬ জন। এখানে চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১২১ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৬৮, যা পাননি দুই প্রার্থী। তাঁরা হলেন, আবেদ হোসেন মিলন ও সোহরাব হোসেন। আবেদ হোসেন মিলন নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। সোহরাব হোসেনের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। এখানে ৩৯ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে তিন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন।   ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৭ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৫২ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি তিন প্রার্থী। তাঁরা হলেন তালা প্রতীকের রেজাউল করিম, মাইক প্রতীকের মো: তাওফিক হোসেন চৌধুরী ও নলকূপ প্রতীকের মো: আফজাল হোসেন। এখানে রায়হান কবির চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪১ হাজার ২৪১ ভোট পেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বাল্ব প্রতীকের তুশিত কুমার সরকার পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩৯ ভোট। 
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জামানত হারাচ্ছেন এক প্রার্থী। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৭৪। এর ১৫ শতাংশ হচ্ছে ১৫ হাজার ৭৪৬ ভোট। এই পরিমাণ ভোট পাননি একজন প্রার্থী। তিনি হলেন পদ্মফুল প্রতীকের স্বপ্না।এখানে হাঁস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে নাজমিন আরা খাতুন ৪৩ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কলস প্রতীকের মোছা: নাদিরা বেগম পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৫ ভোট। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo