উজানের পানির চাপে ভোলার মেঘনায় বর্ষা মৌসূমের আগেই তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাছ ঘাট, শত শত ঘরবাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী ভাঙ্গলী পাড়ের মানুষ। সম্প্রতি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান।
স্থানীয়রা জানান, নদীর ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি। বেঁড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে অতি জোঁয়ার ও ¯্রােতে আমরা ভেসে যাবো। বর্তমানে বেঁড়ী বাঁধ থেকে নদী মাত্র ১শ’ ফুট দূরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙ্গে যাবে। ভিটে-মাটি হারানো নুর ভানু নামে এক নারী বলেন, মেঘানার ভাঙ্গনে আমরা ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। শুধু আমরা নয়, এই এলাকায় বসবাসকারী আরো শতাধিক পরিবার মেঘনার ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাই এই কড়াল মেঘনার ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিবে সরকার এটাই আমাদের দাবী।
ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের স্লুইচগেট পয়েন্ট যে মাছ ঘাট রয়েছে সেখান থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান ররেছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় যে প্রকল্প পাঠিয়েছি তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা খাল সচল রাখতে খাল খনন ও প্রশস্থকরন এবং স্লুইজ গেটটি আরও আধুনিক করতে ৬শ’ ৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে তা পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী বেঁড়ী বাঁধ থেকে নদীর দূরত্ব ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মানের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২শ’ ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন রোধ করতে পারবো। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী ভাঙ্গন সম্পূর্ণ রোধ করা সম্ভব হবে।