মুন্সীগঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতাকে মারধর,থানায় অভিযোগ

আল আমিন প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৯:২১ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৯:২১ এএম
মুন্সীগঞ্জে শ্রমিকলীগ নেতাকে মারধর,থানায় অভিযোগ
মুন্সীগঞ্জ সদরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থন করায় জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারি)মুন্সীগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম বাদী হয়ে মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থন করায় জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার(১৩ ফেব্রুয়ারি)মুন্সীগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম বাদী হয়ে মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের খালইষ্ট এলাকার পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া,শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিল সাজ্জাদ হোসেন সাগর ও সাকিল নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আবুল কাশেম। তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন ছাত্রলীগ নেতা সাগর ও সুরুজ।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল কাশেম মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের নৌকার প্রার্থীর সমর্থক ছিলেন।এ নিয়ে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধ চলছিলো।সোমবার বিকেলে শহরের খালইষ্ট এলাকায় একাপেয়ে আবুল কাশেমের ওপর হামলা চালায় কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা সুরুজ,সাগর,সাকিলসহ ৮-১০জন।এসময় তাকে কিল-ঘুষিসহ লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।এ সময় কাশেমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।এবিষয়ে আবুল কাশেম বলেন,নৌকার প্রার্থীর সমর্থন করায় আজ মারধরের শিকার হলাম।আমি এর বিচার চাই।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর বলেন,সে যে স্থানের কথা বলেছে সেখানে সিসি টিভি ক্যামেরা আছে।ফুটেজ চেক করে দেখতে পারেন তাকে আমি মারধর করেছি কিনা।আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না।নির্বাচনে হেরে যাওয়া আক্রোশ থেকে সে অভিযোগ করছে।সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া বলেন,অহেতুক তাকে মারতে যাবো কেনো।প্রয়োজনে সিসি টিভি ক্যামেরা আছে তার ফুটেজ দেখুন।আমরা গতকাল নির্বাচন অফিসে ছিলাম।আমরা তাকে কোন মারধর করিনি।মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আমিনুল ইসলাম দি বাংলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রতিবেদককে বলেন, মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo