মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় তিন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ওই ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত একটি স্বর্নের চেইন,একটি আই ফোন এবং একটি সিম্পনি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ২৫ জূন ডাকাত মোঃ শরীফ সরকারকে (২৬) নারায়নগঞ্জ জেলার দক্ষিন কাঁচপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ডাকাত শরীফ সরকার (২৬) এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত মোঃ রানা (২৬) ও মোঃ সাজেদ আলমকে (২১) গ্রেফতার করে পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল, দুটি হেলমেট, একটি চাকু, একটি চাপাতি, ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত একটি স্বর্নের চেইন ও একটি আই ফোন এবং একটি সিম্পনি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অপস্ এন্ড ক্রাইম মোহাম্মদ বদিউজ্জামান জানান, গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ রাত ৩ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ফরাজিকান্দি গ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেগনা-গোমতি সেতুর উপর ৬/৭ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অত্র মামলার বাদী একজন প্রবাসীর (জনাব উসমান) ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার আটক করে ডাকাতি করে । এই ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে ।
সংবাদ সম্মেলনের পুলিশ জানায়,গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানায়। তারা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে উবার চালক সেজে যে সকল গাড়িতে প্রবাসীরা যাতায়ত করে ওই সব গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে তারা একাধিকবার গ্রেফতার ও হয়েছে। তাদের নামে বিভিন্ন জেলায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে।
অত্র মামলার বাদী প্রবাসী জনাব উসমান তাহার ভাড়াকৃত প্রাইভেটকার যোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ফরাজিকান্দি গ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা-গোমতি সেতুর উপর পৌছালে পূব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য মোঃ শরিফ সরকার (২৬) ও ডাকাত জাহিদদ্বয় তাহাদের মোটর সাইকেলে অন্যান্য ডাকাতদের নিয়ে ওই প্রাইভেটকারের সামনে থেকে বেরিকেট দেয়। শরিফ সরকার মোটর সাইকেল থেকে নেমে চালকের পাশে গিয়ে গাড়ির ড্রাইবার এর নিকট থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে নেয়। পরে ডাকাত সাজেদ আলম একটি চাপাতি ও ডাকাত মোঃ রানা একটি চাকু এবং ডাকাত জাহিদ একটি ছোরা বের করে অন্যান্য ডাকাত মিলে ওই গাড়ির যাত্রী ও ড্রাইভারকে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে চালকসহ তাদের সকলের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও একটি লাগেজ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।