দুর্ঘটনা রোধে লাইসেন্স বিহীন, ফিটনেট পরিবহন, থ্রী হুইলার সহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ ডিসিরমিরাজুল কবীর টিটো সদর উপজেলা প্রতিনিধি যশোর যশোর জেলা সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। দুর্ঘটনা রোধে লাইসেন্স বিহীন, ফিটনেট পরিবহন থ্রী হুইলার সহ অবৈধ যান চলাচল বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য বিআরটিএ‘র কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।জেলা প্রশাসকের আগে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদারা নভেম্বর মাসের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। তাতে দেখানো হয়েছে নভেম্বর মাসে জেলায় দুর্ঘটনার হার ১১ শতাংশ। এর মধ্যে ইজিবাইকে ৩শতাংশ, থ্রী হুইলারে ৪ শতাংশ ট্রাক ও মিনি ট্রাকে ৬ শতাংশ , বাস ও মিনি বাসে ১ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে। সেই সাথে ১০টি দুর্ঘটনা নিহত হয়েছে ১জন ও আহত হয়েছে ২জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩টি দুর্ঘটনা নিহত -৪, ঝিকরগাছা ৩টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩ ও আহত ১ জন, মনিরামপুরে দুটি দুর্ঘটনা নিহত ২ ও আহত হয়েছে ১জন। অভয়নগরে ১টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১জন, বাঘারপাড়ায় ১ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১জন। উপস্থাপনকৃত তথ্যে প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন যারা অবৈধ যান ও থ্রী হুইলার তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এসব পরিবহন যে ভাবে রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে একারনে দুর্ঘটনা ঘটে।রাস্তার গর্ত বন্ধ করতে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে বলেন। সেই সাথে তিনি নদ ও নদী থেকে বালূ উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন শীতকালে চুরি,ডাকাতি ও চোরাচালান বেড়ে গেছে। এসব রোধে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন।বিআরটিএ‘র যেেশার মোটরযান পরিদর্শক ওমর ফারুক বলেন, আমরা যখন ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে পরীক্ষ্ াগ্রহণ কতরি। তখন চালকদের সঠিক চালানো ও দুর্ঘটনা রোধের বিষয়ে জ্ঞান দিই। তবে দুর্ঘটনা রোধে সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, চুরি, ডাকাতি রোধে সুনিদিষ্ট স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এরপর থেকে চুরি, ডাকাতির তেমন খবর পাওয়া যাচ্ছে না। অপরাধ দমনে পুলিশ যথাসাধ্য ভাবে কাজ করছে।বিজিবির মেজর বলেনফারজিন ফাহিম বলেন চোরাচারাণ রোধে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছে।বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী পাল বলেন ঝিকরগাছা উপজেলার কালি মন্দিরের সামনে, হাসপাতাল মোড়, লাইজানি রেলক্রসিংয়ের সামনে বেশি সড়ক দূর্গটনা ঘটছে। এসব স্থানে স্প্রীড ব্রেকার নির্মানের দাবী জানিয়েছেন।সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহামুদুল হাসান বলেন, যশোরে নির্দেশ না মেনে করা ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিলে সমস্যা হবে। সরকারি হাসপাতালের উপর চাপ পড়বে। যেসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে। ওইসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যস্থা নেয়া হবে।চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, ৮টি থানায় আগের মতো পুলিশি টহল নেই। টহল না থাকায় চুরি, ডাকাতি বেড়েছে। এজন্য টহল জোরদার করতে হবে। ৫ আগস্টের আগে শ্রমিক লীগ নামধারীরা স্টেশনে ব্যবসায়ীদের মারধর করতো। মাঝে তারা থেমে থাকলেও আবার মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। তিনজন মোটরসাইকেল বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে। ছাত্ররা স্কুল ব্যাগে করে বার্মিজ চাকু নিয়ে বেড়ায়। এটা রোধে অভিভাবকদের নিয়ে অভিভাব সমাবেশ করতে হবে। ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করবো যাতে নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতা মধ্যে থাকে।জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোর্তূজা ছোট বলেন, কোন রোটারী পাবলিক বাল্য বিবাহ দেয়া হয় না। বাল্য বিবাহ হয়েছে এমন কোন রোটারী পাবলিকের স্টাম্প দেখাতে পারে,তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিট ম্যানেজার মুহিতোষ কুমার রায় বলেন, ৫০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকছে। সেখানে ভাল ভাবে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম চলছে। যেসব ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ২৫টি ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। সেসব ইউনিয়নে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিাচলনায় জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।সড়ক জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহাবুব হায়দার বলেন ,রাস্তার গর্ত বন্দের কাজ অব্যাহত রয়েছে আরো বক্তব্য রাখেন কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার নুরশেদ আলম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা মহিলা বিষখ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান,শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হাসান, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা প্রমুখ।