দুপুর ২টায় ঘর থেকে বেরিয়ে ফিরেন রাত্রি ১১টায়। আবার কখনো কখনো সকালে বের হয়ে ফিরেন মাঝরাতে। দুই হাতে বাহারি রঙের অগনিত হাতপাখা নিয়ে পায়ে হেটে হেটে ফেরি করে সংসার চলে তার। তবুও ঠিকমত চুলায় আগুন জ্বলেনা, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বলছিলাম ভাসমান তালপাখা ফেরিওয়ালা শফিকুল ইসলামের কথা। অনুকুল পরিস্থিতি প্রতিকুল হলেই সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যান শফিকুলের মত অগণিত হাতপাখা ফেরিওয়ালারা।
দুপুর ২টায় ঘর থেকে বেরিয়ে ফিরেন রাত্রি ১১টায়। আবার কখনো কখনো সকালে বের হয়ে ফিরেন মাঝরাতে। দুই হাতে বাহারি রঙের অগনিত হাতপাখা নিয়ে পায়ে হেটে হেটে ফেরি করে সংসার চলে তার। তবুও ঠিকমত চুলায় আগুন জ্বলেনা, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। বলছিলাম ভাসমান তালপাখা ফেরিওয়ালা শফিকুল ইসলামের কথা। অনুকুল পরিস্থিতি প্রতিকুল হলেই সংসার চালাতে হিমশিম খেয়ে যান শফিকুলের মত অগণিত হাতপাখা ফেরিওয়ালারা।
মোটকথা গরম পড়লেই হাতপাখার চাহিদা বাড়ে ফলে বেচাকেনাও ভালো হয় তাদের। কিন্তু গেল সপ্তাহ থেকেই চট্টগ্রামে কয়েকদফা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমায় বেচাকেনায় ভাটা পড়েছে। আর এতে করে আশানুরূপ উপার্জন না হওয়ায় সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে বলে জানান শফিকুল ইসলাম নামক ভাসমান হাতপাখার এই ফেরিওয়ালা।
রায়হান নামের এক অফিস ফেরত ঘরমুখী ক্রেতার নিকট জানতে চায়লে তিনি জানান ,প্লাষ্টিকের হাতপাখার চেয়ে তালপাতা দিয়ে বানানো হাতপাখার বাতাস আরামদায়ক। বিশেষ করে বিদ্যুৎ না থাকলেই এর প্রয়োজন বেশী। আর তাইতো শফিকুল ইসলাম থেকে পাখা ক্রয় করতে পেরে খুশি এই ক্রেতা।
শফিকুল ইসলামের কাছে তালপাতার পাখা, বেতেরপাখা, কাপড়ের হাতপাখাসহ তিন প্রকারের হাতপাখা আছে। ধরণ ও আকার অনুপাতে এসব হাতপাখার দামের মধ্যেও আছে ভিন্নতা। তবে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার মধ্যে হাতপাখা পাওয়া যায় তার কাছে। প্রতিটি পাখায় ১০ টা থেকে ৩০ টাকা লাভ হয় তার। এভাবেই গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার টাকার পাখা বিক্রি করতে পারলে আয় হয় তার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। আর এই সামান্য আয়েই চলে শফিকুলের সংসার। তবে তীব্র গরম পড়লে কিংবা লোডশেডিং বেশী হলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকাও আয় করতে পারে বলে জানান তিনি। শফিকুল এসব হাতপাখা কিনেন নগরীর বকশীরহাট বাজার থেকে। গরমে তিন মাস হাতপাখা বিক্রি করলেও বছরের বাকীটা সময় প্লাষ্টিকের হেংগার বিক্রি করে সংসার চলে তার। ১ ছেলে ১ মেয়েসহ শফিকুলের ৪ সদস্যের পরিবার। ভাড়া করা বাসায় থাকেন নগরীর সেগুন বাগানে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এইসব ব্যবসায়ীদের স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে টিকে থাকবে এই পেশা, পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান, আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।