মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মোঃ মানিক মিয়া প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১২:১৫ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ১২:১৫ পিএম
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেরপুরের নকলা উপজেলার এস এম আমিনুজ্জামান ফারুকসহ তিন জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক, মোখলেসুর রহমান তারা এবং এ কে এম আকরাম হোসেন আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেরপুরের নকলা উপজেলার এস এম আমিনুজ্জামান ফারুকসহ তিন জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামি এস এম আমিনুজ্জামান ফারুক, মোখলেসুর রহমান তারা এবং এ কে এম আকরাম হোসেন আদালত কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয় ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট। মামলায় ৪ আসামি থাকলেও, বিচার চলাকালে জামিনে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে মারা যান মো. এমদাদুল হক খাজা নামের আরেক আসামি। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। আর গতকাল রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। জানা গেছে, আসামিদের বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগে নকলার রামের কান্দি বিবিরচর ও মজিদ বাড়ি গ্রামে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক, নির‌্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। আর দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে নকলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান ও বাজেরদি গ্রামের শাহজাহান আলী ওরফে সাজুসহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের আপহরণ, আটক, নির‌্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তিনটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তবে চার নম্বর অভিযোগে জোর করে শ্রম আদায় বা কাজে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় এ অভিযোগ থেকে তিন আসামিকেই খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo