মাগুরার বড়শলই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোঃ হিরামন হোসেনের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেনী পাশের ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে তারবিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে মোঃ আলমগীর হোসেন জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোঃ হীরামন হোসেন মাগুরা সদর উপজেলার,বড়শলই গ্রামের কাওছার বিশ্বাসের পুত্র।২০১২ সালে থেকে বড়শলই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরি করে আসছে।
ষষ্ঠ শ্রেণীতে সে বড়শলই পঞ্চ পল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি হইলেও কখনও স্কুলে যায় নাই। সে সপ্তম বা অষ্টম কোন ক্লাসে আর লেখাপড়া করে নাই। সে ২০০৭ সালে ৮ম শ্রেণী পাস মর্মে ২০১২ সালে একটি সার্টিফিকেট তৈরি করেছে।এবং সেই সার্টিফিকেটেই সে চাকরি নিয়েছে। এলাকাবাসী ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরি কালিন উত্তলন করা টাকা ফেরৎ ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।
স্কুলের পাশের একজন সমাজ সেবক গোলাম মোস্তফা বলেন হিরামন অষ্টম শ্রেণী পাশের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি নিয়েছে,যা আইননত অপরাধ। এ ব্যাপারে তিনি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। বড়শোলই পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন এখানে হিরামন ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হইলেও সপ্তম ও অষ্টমী শ্রেণীর হাজিরা খাতা ও ভর্তি রেজিষ্টারে তার নাম নাই। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বড়শলই সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক নবকুমারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে মাগুরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইফুজ্জামান খান বলেন ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে কেউ চাকরি করলে বড় রকমের পানিশমেন্ট হবে তার।