সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পীরগাছা পাকার মাথার এতিম খানায় মাগফেরাতের প্রথম দিন,১২ই মার্চ রোজ বুধ বার বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় ৭৪টি এতিম শিশুদের পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর বিতরণ করেন,এতিমখানা- র পরিচালক,নূরেলদীন মোহাম্মদ ইব্রাহিম ইয়াহিয়া ওরফে সুদানি। তিনি বলেন,এস,এস,টি সংস্থার সহযোগিতায় এই ত্রাণের ব্যবস্থা করেন তিনি। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ২৮শ ধানের চাল,আলু,পেঁয়াজ,ছোলা বুট,মসুরডাল,গুড়া মরিচ, গুড়া হলুদ,জিরা মসলা,চিনি,পোলাও এর চাল,সেমাই সয়া- বিন তেল,সহ মোট ১৩টি আইটেমের খাদ্য সামগ্রী বিতারণ করেন তিনি। সে সময় উপস্থিত ছিলেন পাকার মাতা,৮নং মৌজার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,বিগত প্রায় ৩০ বছর ধরে এই এতিম বাচ্চাদের বরাদ্দগুলো লুটে ফুটে খেয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সহ,তার দোসর মোঃ আব্দুল জলিল ও কমিটিতে থাকা সদস্যরা,ভাগ বাটোয়ারা করে,কোটি কোটি টাকা এই এতিমখানা থেকে আত্মসাৎ করেন। এমনকি এতিমখানা নামে কোন চিহ্নই কিন্তু ছিল না, এমন কি?সে এই এতিম খানাটি-কে নিজের সম্পত্তি ভেবে খতিয়ান করেন ও রেকর্ড করে নেন। পরে,সেখানে গরুর খামার গড়ে তোলেন,কেয়ারটেকার আব্দুল জলিলের মাধ্যমে। এবং সন্ধ্যার পর,সেখানে শুরু হত জুয়া খেলা থেকে,মদকের আড্ডা,সহ চলতো দেহ ব্যবসা,এগুলি পরিচালনা করেছিলেন আব্দুল জলিল মিয়া। এমন কোন অপকর্ম ছিল না যা এই এতিমখানায় হতো না। কিন্তু গ্রাম্য ভাষায় একটি কথা রয়েছে,আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর। এসব দেখে এলাকার মানুষ খুব ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন,কিন্তু কিছুই করার ছিল না। কারণ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবের ভয়ে। কেউ কিছু বলতে গেলেই তার বাহিনী হুমকি ধামকি দিয়ে মামলা করার ভয় ভীতি দেখাতেন। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। কিন্তু গত ৫ই আগস্টের পর সাধারণ স্থানীয় মানুষ এতিম খানাটি দখল মুক্ত করেন। এবং তা সুদানি কে পরিচালনা করার দায়িত্ব দেন এলাকাবাসী। যার ফল আজ স্বচক্ষে দেখতে পারছি আমরা। সুদানি কত সুন্দর পরিবেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন,এতিম শিশুর পরিবারকে।
উল্লেখ্য যে বাজেট পেয়েছে মোট ১১টি খাদ্য সামগ্রীর জন্য কিন্তু সুদানি আরোদুইটি খাদ্য সামগ্রী বাড়িয়ে দিয়ে মোট ১৩খাদ্য সামগ্রী অনেক সুন্দর পরিবেশে বিতারণ কর- ছেন। এর মধ্যে রয়েছে পোলাএর চাল,ও রয়েছে সেমাই। বাড়তি এই দুইটি খাদ্য সামগ্রী তাহার নিজের তহবিল থেকে ভরিয়েছেন বলেও তিনি জানান। যারা এই এতিম শিশুদের লালন-পালন করছে শুধু তাদের নয়।রাজনৈতিক দলগুলো -রও দায়িত্ব এই শিশুদের পাশে থাকা। মহানবী(সা.)এতিম- দের প্রতি সদয় হতে বলেছেন। এতিম,পথশিশু,সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উপর আমাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে আজ একত্রিত হয়েছি। আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কাজ করছি। প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা,এসময় ইসলামকে অনুসরণ করে সমাজের রাজনৈতিক দলগুলো- কেও সামাজিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে মহানবী (সা.) এতিম শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। এতিমের সম্পদ ভক্ষণকারীদের কঠোর শাস্তির কথা জানিয়েছেন। বিত্তবানদের,এতিম শিশুদের দায়িত্ব নিতে বলেছেন। কিন্তু আবারো অসাধু লোকেরা এই এতিমখানাটি কে দখলের পায়ে তারা করছে বলেও তিনি জানান। তাই এলাকার সকল মানুষের প্রতি এতিমখানা সহ,এতিম বাচ্চাদের প্রতি দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে- ছেন তিনি।