ভোলার চরফ্যাশনের তারুয়া সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য

মোঃ মাকসুদ আলম প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর , ২০২৪ ১৬:৩৯ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর , ২০২৪ ১৬:৩৯ পিএম
ভোলার চরফ্যাশনের তারুয়া সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড় হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত চারদিকে নদী বেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তারুয়া সমুদ্র সৈকত।

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত চারদিকে নদী বেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি তারুয়া সমুদ্র সৈকত। লাল কাঁকড়ার বিচরণ আর পাখিদের অভয়ারণ্য খ্যাত চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্নদ্বীপ ঢালচরের এই সৈকতটি দেখতে এখন ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ও কোলাহল মুক্ত এই স্থানটিতে পর্যটকরা যে যার মত অবস্থান করায় কমে গেছে লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। সেই সঙ্গে চরটিতে পাখিরাও আর আগের মতো স্বস্তিতে বিচরণ করতে পারছে না। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক জীব বৈচির্ত্য ও পাখিদের অভয়ারণ্য রক্ষায় চরটিতে পর্যটক ভ্রমণে সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। নেই কোন বিধি-নিষেধ। ফলে অঙ্কুরেই হারিয়ে বসতে শুরু করেছে তারুয়া সমুদ্র সৈকতের নৈসর্গিক প্রকৃতির সৌন্দর্য। পর্যটকরা চরটিতে গিয়ে যে যার মত সৌন্দর্য উপভোগ করলেও ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জায়গা খেকে তারুয়া সমুদ্র সৈকতে আনন্দ উপভোগে আসছেন হাজারো মানুষ। ১৯৬৫ সালের দিকে জেগে উঠা চরফ্যাশন শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্ন এ চরটি ঢালচর ভেঙ্গে পূর্ব ঢালচর হিসাবে পরিচিত হলেও এটিকে পরে তারুয়া সমুদ্র সৈকত নাম করণ করেন স্থানীয়রা। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পাখি কিংবা কাঁকড়াকে তাদের মতো করে থাকতে দিতে হয়। তবে সেটি হচ্ছে না এই দ্বীপে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে যেন কুয়াকাটা ও কক্সবাজারকেও হার মানায়। লাল কাঁকড়া দৌড়াদৌড়ি,পাখির জাঁক সাগরের ঢেউ এক মায়াকাড়া মনোরম সুন্দরের দৃশ্য। আবার মানুষের পদচারণায় মুহূর্তেই কাঁকড়াদের গর্তে লুকানো।এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য তো আছেই। কর্মব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনের মাঝে অবকাশ যাপনের জন্য প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে তারুয়া সমুদ্র সৈকত।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo