ভেড়ামারায় পানির সংকটে জনভোগান্তি চরমে

মোঃ সাহেদ হোসেন প্রকাশিত: ৬ মে , ২০২৪ ১০:১৬ আপডেট: ৬ মে , ২০২৪ ১০:১৬ এএম
ভেড়ামারায় পানির সংকটে জনভোগান্তি চরমে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় টিউবওয়েলে উঠছে না পানি! ফলে জন ভোগান্তি চরমে। জিকে ক্যানেলে পানি না থাকায় ক্যানেলের আশপাশের সব টিউবওয়েল এ একই অবস্থা। অপরদিকে বাসা বাড়ি গুলোতেও মটর চললেও পানি উঠছেনা। জিকে ক্যানেলে পানি না থাকায় কৃষকরাও নানাবিধ সমস্যার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন বেশকিছু ভুক্তভোগী কৃষক।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় টিউবওয়েলে উঠছে না পানি! ফলে জন ভোগান্তি  চরমে। জিকে ক্যানেলে পানি না থাকায় ক্যানেলের আশপাশের সব টিউবওয়েল এ একই অবস্থা। অপরদিকে  বাসা বাড়ি গুলোতেও মটর চললেও পানি উঠছেনা। জিকে ক্যানেলে পানি না থাকায় কৃষকরাও নানাবিধ সমস্যার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন বেশকিছু ভুক্তভোগী কৃষক। 

এ বিষয়ে  ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, পানির হাহাকার থেকে এলাকাবাসীকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্ট এ দ্রুত সাবমারসিবল পাম্প বা বিকল্প কিছু বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ ভেড়ামারা মিরপুর আসনের মাননীয় এমপি আলহাজ্ব কামারুল আরেফিন মহোদয়, পৌর মেয়র এবং সমাজের বিত্তবানদের কে এগিয়ে আসার অনুরোধ এবং জোর দাবী জানান। 

তিনি আরো বলেন, পৌর মেয়র আনোয়ারুল কবীর টুটুল মহোদয় যদি পৌর সাপ্লায়ার পানির লাইন শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এ উন্মুক্ত লাইন এর ব্যবস্হা করেন তাহলেও পানির কষ্ট কিছু টা হলেও লাঘব হবে। তাই পৌর মেয়র এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ভেড়ামারায় ক্রমেই নিচে নামছে সুপেয় পানির স্তর। টিউবওয়েল এ পানি না উঠায় পানির জন্য হাহাকার পড়ে গেছে।  ফলে মহল্লা মহল্লায়, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে প্লাটফর্ম, শহর এবং গ্রামের জনবহুল কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সাবমারসিবল পাম্প বা বিকল্প কিছু বসানোর ব্যবস্হা করলে এলাকার মানুষ পানির কষ্ট থেকে কিছু টা হলেও রেহায় পেতো।সব কষ্ট সহ্য করা যায় কিন্তু এই গরমে পানির কষ্ট সহ্য করা যায় না।

ভেড়ামারা উপজেলার পৌরসভা সহ ৬ টা ইউনিয়ন এর একই চিত্র। যত্রতত্র পুকুর, নালা,খাল-বিল ভরাট, অনাবৃষ্টি ও বাড়তি তাপমাত্রা এ ভোগান্তির কারণ ছাড়াও ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।

 ভূ-পৃষ্ঠীয় পানি বা সারফেস ওয়াটারের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হলে আগামীতে এ সংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা এবং যত্রতত্র পুকুর-খাল-বিল ভরাটের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সামনে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

প্রায় আজ ২ মাস পানির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা দিলেও এবিষয়ে চোখে পড়ার মত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নেই উল্লেখ যোগ্য কোন ভূমিকা। এমনকি জনভোগান্তি মানুষের পাশেও পাওয়া যায় নি তাদের কে। এজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo