নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুল শিক্ষক রাহাত আলমগীরের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বনপাড়া-পাবনা মহাসড়কের উপজেলার বনপাড়া বাজারে উপজেলার তিন শতাধিক শিক্ষক মানববন্ধন করে।
এ সময় বিভিন্ন স্কুলের আরও ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাহাত আলমগীর (৪৭) গত ১৭ জুন ঈদের দিন নগর ইউনিয়নের মসিন্দা গ্রামের নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন।
পথে জমিজমা নিয়ে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব ঠেকাতে গিয়ে স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল চক্র তাকে চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আসামীরা আটক হলেও অল্প দিন পর জামিন পায়। আসামীরা বর্তমানে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এ মামলার বিচারকার্য দ্রুত সম্পন্ন করতে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রদানের জোর দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে মোবাইল ফোনে ভার্চুয়াল বক্তব্য প্রদান করেন, নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ভুট্টো, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ)এর জেলা সভাপতি মো. তুগলক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ওয়াসেক আলী সোনার, সহ সভাপতি ও স্বাশিপ এর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান শাহীন সহ উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
পরে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়ে লিখিত স্মারকলিপি পেশ করেন।