লাখাই উপজেলায় আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। উপজেলায় স্থায়ী ১টি গরুর হাট বসেছে। এবার পশুর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় বাজারে দাম স্বাভাবিক থাকবে বলে আশা করছেন ক্রেতারা।
উপজেলা প্রাণিজ সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবছর কোরবানি যোগ্য পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪৭৭৮টি, চাহিদা ৪ হাজার, যা চাহিদার চেয়ে ৭৭৮ টি বেশি। এসব পশুর মধ্যে গরু ৩৮৩৯টি, ছাগল ৬১৫, ভেড়া ৩১৪টি , মহিষ ১০টি।
উপজেলার একমাত্র পশুর হাট বামৈ বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রচুর গরু এনেছেন। কেউ কেউ খামার থেকেই গরু বিক্রি করছেন। ঈশা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক সুজন আহমেদ জানান, তিনি খামারে ১৬টি গরু লালন করেছেন এবং খামার থেকেই বিক্রি করেছেন।
তবে বৈরী আবহাওয়ার কারনে হাটে পশু বিক্রি এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি, তবে বিক্রেতারা আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যেই বেচাকেনা বাড়বে।হাটে ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা বেশি। অনেকেই বলছেন এই বৃষ্টিপাতের কারণে কেউ পশু কিনতে হাটে যাচ্ছে না।বৃষ্টিপাত কমলেই ক্রেতার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান বিক্রেতা ও পাইকাররা। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা জানান এই বছর বড় কোরবানির পশুর চেয়ে মাঝারি ধরনের পশুর চাহিদা বেশি। বাজারে মাঝারি ধরনের পশুর দাম তুলনামূলক একটু বেশি।
পাশাপাশি, বামৈ পশুর হাটে জনদুর্ভোগ ও বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা ও সমস্যা এড়াতে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়ান রয়েছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বামৈ পশুর হাটে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু রয়েছে। যেখানে ভেটেরিনারি চিকিৎসকরা পশুদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা সহ গাভী গর্ভবতী কিনা সেটা নিশ্চিত করবেন।