যশোরের বাঘারপাড়ার রাধানগর মৌজায় নির্মিত রেলওয়ে জংশনের নাম পদ্মবিলা পরিবর্তনের দাবী বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে গ্রামবাসী। স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) সুজন সরকার।স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা-যশোর রেলপপথটি রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মাণাধীন একটি ব্্রডগেজ রেলপথ। এটি পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট রেলপথ। স্টেশন তালিকা অনুযায়ী ১৭ নম্বরে রয়েছে পদ্মবিলা জংশন। যার অব¯’ান সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের পদ্মবিলা গ্রামে। কিš‘ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, পদ্মবিলা গ্রামে স্টেশনটি নির্মান হয়নি। স্টেশনটি নির্মান হয়েছে পদ¥বিলা গ্রাম থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে ৩ গ্রামের পরে বুড়ি ভৈরব নদীর ঐ পারে বাঘারপাড়া উপজেলার ৮ নম্বর বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের রাধানগর গ্রাম (মৌজা নং-১৩৮) এর মধ্যবর্তী ¯’ানে। প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করে রেলওয়ে জংশনটি নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কিš‘ নামফলকে লেখা হয়েছে পদ্মবিলা জংশন। কি কারনে করা হয়েছে তা তদন্তের দাবী রেখেছে গ্রামবাসী। পদ্মবিলা জংশনের নাম পরিবর্তনের জন্য ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়।কিš‘ কোন এক অজানা কারনে অধ্যবধি তার কোন সুরাহা হয়নি। যার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসী মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে। সেই সাথে এলাকার মানুষ ফুসে উঠেছে। আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যে পদ্মবিলা নাম পরিবর্তন না করা হলে অবরোধসহ বড় ধরনের আন্দোলনের ঘোষনা আসতে পারে। যার ব্যাপকতা সামাল দেয়া জেলা প্রশাসকের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাদের দাবী রাধানগর গ্রামে নির্মিত জংশনটির নাম রাধানগর করে পদ্মবিলা নামটি পরিবর্তন করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংঘাতময় পরিস্থিত থেকে এলাকাবাসীকে পরিত্রান দানে ও এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী পুরণে সহযোগিতা কামনা করা হয়।এলাকাবাসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক আশরাফ আলী, মাহমুদুর রহমান সবুজ, জহিরুদ্দীন শাহীন, আজগার আলী, মোহাম্মদ আলী, আহসানুল বান্না সমুন, মহিবুল হোসেন, জাহিদ হোসেন, হারেজ আলী প্রমুখ।