নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বৃষ্টির আশায় হয়ে গেল জাঁকজমকপূর্ণ এক বিয়ের অনুষ্ঠান। শনিবার দুপুরে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বাশবাড়ীয়া এলাকায় এমন বিয়ে হয়। তবে বর-কনের আসনে ছিল দুটি ব্যাঙ।
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বৃষ্টির আশায় হয়ে গেল জাঁকজমকপূর্ণ এক বিয়ের অনুষ্ঠান। শনিবার দুপুরে উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বাশবাড়ীয়া এলাকায় এমন বিয়ে হয়। তবে বর-কনের আসনে ছিল দুটি ব্যাঙ।
বৃষ্টির আশায় এ বিয়ের আয়োজন করেছিল ওই এলাকার শিশু-কিশোরেরা। বিয়ের আয়োজনে কোনো কমতি ছিল না। হাসি আর আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। নেই বৃষ্টিপাত, সঙ্গে প্রচণ্ড দাবদাহ। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বৃষ্টির আশায় দেওয়া হলো এই ব্যাঙের বিয়ে।
শিশুরা জানায়, জমিতে পানি নাই। ধান খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় বড়দের মুখে হাসি নাই। তাই আমরা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছি।
ওই এলাকার বাসিন্দা ডাঃ মোঃজয়নাল আবেদন জানান তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে পানি উঠছে না,গরু ছাগল স্টোক করে মারা যাচ্ছে। চাষাবাদের জন্যও পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। অতিরিক্ত সেচ না পাওয়ার কারণে ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমে যাচ্ছে । এ কারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সেজন্য শিশুরা এই ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছে।
জানা যায়, শনিবার ২৭ (এপ্রিল)দুপুরে শিশুরা ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করে। সেই উপলক্ষে ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দেরে তুই আল্লাহ, মেঘ দে পানি দে’ বলে পুরো এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল তুলে আর পুরো শরীরে পানি দিয়ে কাদা পানিতে গড়াগড়ি করে। শিশুদের এমন আনন্দকে স্বাগত জানিয়ে মেতে উঠেন ওই এলাকার বড়রাও।
পরে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে সংগৃহীত চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে সবাই মিলে খাওয়া হয়।
ওই এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বিরা জানান, আমরাও ছোট বেলাত বৃষ্টি না হলে এভাবে ব্যাঙের বিয়ে দিছি। তাতে বৃষ্টি হয়েছে কিনা- এই প্রশ্নের উত্তরে তারা কিছু জানাননি।