বাকৃবিতে কৃষি প্রযুক্তি মেলা: আধুনিক যন্ত্রপাতিতে কৃষির নতুন দিগন্ত

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৮:১৫ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারী , ২০২৫ ১৮:১৫ পিএম
বাকৃবিতে কৃষি প্রযুক্তি মেলা: আধুনিক যন্ত্রপাতিতে কৃষির নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিএএমবিই-২০২৫)’ শীর্ষক কৃষি প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।


বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলিপ্যাডে মেলার উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।


মেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রদর্শনীর জন্য ড্রোন মেশিন, ট্রাক্টর, নারিকেলের ছোবড়া ছাড়ানোর যন্ত্র, পাওয়ার উইডার, কফি পাল্পার, কম্পোস্ট সেপারেটর, মূল জাতীয় সবজি ধৌতকরণ যন্ত্র, ফল শোধন যন্ত্র, নিউ হল্যান্ড ট্রাক্টর, মিনি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার ও সিডারসহ নানা ধরনের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।


এবার মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, এসিআই মোটরস লিমিটেড, বাংলামার্ক এগ্রো মেশিনারিজ, এস কিউ এগ্রিকালচার লিমিটেড, কৃষিবিদ ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্টল দিয়েছে।


বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজন প্রতিনিধি বলেন, আমরা নারিকেলের ছোবড়া ছাড়ানোর যন্ত্র, পাওয়ার উইডার, কফি পাল্পার, কম্পোস্ট সেপারেটর, মূল জাতীয় সবজি ধৌতকরণ যন্ত্র, ফল শোধন যন্ত্রসহ একাধিক যন্ত্রপাতি মেলা উপলক্ষে নিয়ে এসেছি। আমরা এখানে শুধু যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর জন্য এনেছি, বিক্রয়ের জন্য নয়। তবে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা এই মডেলগুলো দিয়েছি, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ভোক্তারা এসব যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারবে।


এসিআই মোটরস লিমিটেডের এক বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, আমরা এখানে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ড্রোন নিয়ে এসেছি, পাওয়ার টিলার এনেছি, এছাড়াও বেশ কয়েকটি আধুনিক যন্ত্রপাতি এনেছি। কেউ যদি ক্রয় করতে চান, তাহলে আমাদের শোরুমে যোগাযোগ করতে পারেন। কয়েকটি যন্ত্র যেমন পাওয়ার টিলার শোরুম থেকে নগদ ক্রয় করলে ডিসকাউন্ট থাকবে এবং কিস্তিতে ক্রয় করার সুবিধা রয়েছে।


ময়মনসিংহের সুতিয়াখালীর কৃষক জাহাঙ্গীর বলেন, এতো আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি একসঙ্গে দেখার সুযোগ আগে পাইনি। আমরা মাঠ পর্যায়ে এখনও অনেক কষ্ট করে চাষাবাদ করি। কিন্তু এখানে এসে দেখলাম, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে আমাদের খরচ কমবে, সময় বাঁচবে। যদি সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করে, তাহলে অনেক কৃষকই এসব যন্ত্র কিনতে পারবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo