বটতলা থেকে ছৈলার চরের রাস্তায় ঠিকাদারের গাফিলতিতে কাজে ধীরগতি ও বায়ু দূষণ চরমে

মোঃ ফয়সাল আহম্মদ প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল , ২০২৪ ০৫:৫৭ আপডেট: ১৪ এপ্রিল , ২০২৪ ০৫:৫৭ এএম
বটতলা থেকে ছৈলার চরের রাস্তায় ঠিকাদারের গাফিলতিতে কাজে ধীরগতি ও বায়ু দূষণ চরমে
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় রাস্তার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি ও ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী।উপজেলার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের বটতলা বাজার থেকে ছৈলারচর পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ এক বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কটি সংস্কার কাজ ধীরগতির ফলে চলাচলকারীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় রাস্তার কাজে ঠিকাদারের গাফিলতি ও ধীরগতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী।উপজেলার কাঠালিয়া সদর  ইউনিয়নের বটতলা বাজার থেকে ছৈলারচর পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ এক বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সড়কটি সংস্কার কাজ ধীরগতির ফলে চলাচলকারীদের মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।  

এই সড়কটি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে কাঠালিয়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ছৈলার  চড়ে প্রতিদিন শত শত লোক যাওয়া আসা করে, তাছাড়াও এখান থেকে আমুয়া বন্দর সহ প্রায় দশটি গ্রামে  প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন স্কুল কলেজে যাতায়াত করে।  নিয়মিত গাড়ি চলার ফলে বায়ু দূষণ চরমে। ধুলো বালিতে জন স্বাস্থে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগ বালাই। বাতাসের সাথে ছড়িয়ে যাচ্ছে ধুলোবালি। যার ফলে শিশু ও বয়স্করা রয়েছে অধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।  ধুলাবালির কারণে  হাঁচি,কাশি,  ঠান্ডা জনিত রোগ দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, গত প্রায় আট নয় মাস আগে এই সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়। পুরাতন রাস্তা খুরে সেখানে পুরাতন ইট ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কোন রকমে কিছুদিন কাজ করে ঠিকাদার। আর এরপর থেকে ওই সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। ধুলোবালিতে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। স্থানীয় শিক্ষার্থী মোঃ সাগর মিয়া, রাকিব হোসেন, সুমনা আক্তার জানিয়েছেন, আমরা এই রাস্তা দিয়ে কলেজে যেতে পারি না, আমাদের চলাফেরা করতে অনেক কষ্ট হয়, নাকে ধুলোবালি যায়, একটি জামা একবারের বেশি গায়ে দেয়া যায় না। আমরা রাস্তাটি দ্রুত শেষ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। 

স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আমাকে নিয়মিত বাজার করতে এই রাস্তা দিয়ে বটতলা বাজারে যেতে হয়। কিন্তু এখন একবার বের হলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি, ধুলোবালিতে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ হোক এটা আমাদের দাবি। অটো ড্রাইভার মিজানুর রহমান জানায় রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে আর গাড়ি চালাতে ইচ্ছা করে না। যাত্রীদের সাথে সাথে আমরাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ফয়সাল আহম্দম জানান, রাস্তাটি নিয়ে আমরা চরম ভোগান্তিতে আছি। এ বিষয়ে আমি সহকারি ঠিকাদার যুবলীগ নেতা বাদলের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিল ঈদের পূর্বেই আমরবুনিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ সম্পন্ন হবে। কিন্তু আমরা কিছুই দেখতে পাইনি। এটা শুধুই তার মুখের কথা ছিল। জনদুর্ভোগ লাগবে আমিও দ্রুত রাস্তাটির নির্মাণ সম্পন্ন হোক এটা চাই। 

রাস্তার কাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে ঠিকাদার ও সহকারি ঠিকাদারদের ফোনের মাধ্যমে জানতে চাইলে তারা কোন কিছু না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এলাকাবাসী রাস্তাটি দ্রুত শেষ করার দাবী জানিয়েছে। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo