পিবিআই, যশোর ইউনিট গত ইং ১৮/০১/২০২৫ তারিখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (Facebook) এর পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চৌগাছা থানা এলাকার ইজিবাইক চালক রকি হোসেন (২২), পিং-মোঃ লিয়াকত আলী, সাং-পুড়াহুদা, পোঃ জগদীশপুর, থানা- চৌগাছা, জেলা-যশোর গত ইং ১৬/০১/২০২৫ তারিখ হতে নিখোঁজ রয়েছে।
পিবিআই, যশোর ইউনিট গত ইং ১৮/০১/২০২৫ তারিখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (Facebook) এর পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চৌগাছা থানা এলাকার ইজিবাইক চালক রকি হোসেন (২২), পিং-মোঃ লিয়াকত আলী, সাং-পুড়াহুদা, পোঃ জগদীশপুর, থানা- চৌগাছা, জেলা-যশোর গত ইং ১৬/০১/২০২৫ তারিখ হতে নিখোঁজ রয়েছে। তখন পিবিআই যশোর ইউনিট নিখোঁজ সংক্রান্তে ভিকটিমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে ভিকটিমের পরিবার নিখোঁজ সংক্রান্তে চৌগাছা থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন মর্মে জানালে, পিবিআই যশোর ইউনিটের চৌকস দল ভিকটিম রকিকে উদ্ধারের নিমিত্তে ছায়াতদন্ত শুরু করে। ভিকটিমের পিতা লিয়াকত আলী জানান, তার ছেলে সোহান আলী রকি হোসেন (২২) একজন ইজিবাইক চালক। সে প্রতিদিনের ন্যায় গত ইং ১৬/০১/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হলেও সে আর বাড়িতে ফিরে নাই। পরিবারের সদস্যরা সোহান আলী রকি হোসেন (২২) এর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায়। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তার পিতা ঐদিনই চৌগাছা থানায় ছেলে নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন মর্মে জানালে, অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তাদেরকে উক্ত জিডি কপি নিয়ে পিবিআই, যশোর অফিসে আসার জন্য অনুরোধ করেন। উক্ত জিডি কপি নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা পিবিআই, যশোর অফিসে আসলে পিবিআই, যশোর জেলার সাধারণ ডায়রী নং-১৫৯, তারিখ-১৮/০১/২০২৫ খ্রিঃ মূলে অনুসন্ধাকারী কর্মকর্তাসহ পিবিআই যশোর জেলার চৌকস দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তকালে, ভিকটিম সোহান আলী রকি হোসেন (২২) নিখোঁজের সহিত সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় পিবিআই প্রধান জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল, অ্যাডিশনাল আইজিপি (চলতি দায়িত্বে), বাংলাদেশ পুলিশ এর সঠিক তত্ত¡বধান ও দিক নির্দেশনায়, পিবিআই যশোর জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্তে¡ অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ)/ ডিএম নুর জামাল হোসেনসহ পিবিআই, যশোর জেলার চৌকস দল ঘটনার সাথে জড়িত ০১। মোঃ সোহানুর রহমান ওরফে সোহান (১৭), পিং-শরিফূল ইসলাম, সাং-পুড়াহুদা, থানা-চৌগাছা, জেলা-যশোরকে গত ১৮/০১/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় তার নিজবাড়ি হতে, ০২। মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে সজল (১৭), পিং-মোঃ আব্দুর রহিম, সাং-ইছাপুর, থানা-চৌগাছা, জেলা-যশোরকে একই দিন রাত অনুমান ১১.১৫ ঘটিকার সময় তার নিজ বসতবাড়ির পাশ থেকে এবং ০৩। মোঃ সুজন হোসেন (১৫), পিং-মোঃ কামাল হোসেন, সাং-পাঁচনামা, থানা-চৌগাছা, জেলা-যশোরকে অদ্য ১৯/০১/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.৪৫ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত সোহানুর রহমান সোহান, শরিফুল ইসলাম সজল ও সুজন হোসেন ভিকটিম সোহান আলী @ রকি হোসেন (২২) কে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এবং মৃতদেহ গোপন করার জন্য চৌগাছা থানাধীন পাঁচনামনা সাকিনের পলির মাঠস্থ বুড়িগাঙ্গের মধ্যে পানির কিনারায় কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখেছে মর্মে স্বীকার করে। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু সোহানুর রহমান, সজল ও সুজনদের দেখানো মতে চৌগাছা থানাধীন পাচনামনা সাকিনে পলির মাঠস্থ বুড়িগাঙ্গের পাড়ে গিয়ে সাধারণ লোকজনের উপস্থিতিতে ভিকটিম রকির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত হত্যাকান্ড সংক্রান্তে ভিকটিমের পিতা লিয়াকত আলী অভিযোগ দায়ের করলে যশোর জেলার চৌগাছা থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১৯/০১/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/২০২১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। উক্ত মামলাটি পিবিআই, যশোর জেলা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে মামলা তদন্তভার এসআই(নিঃ) ডিএম নুর জামাল হোসেন এর উপর ন্যাস্ত করেন। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত ধৃত শিশুদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, ধৃত শিশু সোহানুর রহমান, সজল, সুজন ও ভিকটিম রকি একই সাথে চলাফেরা করতো। সোহানুর রহমান, সজল ও সুজনদের টাকার প্রয়োজন হলে তারা রকির ইজিবাইক চুরি করবে মর্মে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৬/০১/২০২৫ খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ধৃত মোঃ সোহানুর রহমান ও সজলদ্বয় চৌগাছা ভাষ্কর্যের মোড়ে ভিকটিম রকির সাথে দেখা করে এবং ধৃত সজল ভিকটিম রকির ইজিবাইকে উঠে, সোহান তার সাইকেল চালিয়ে চৌগাছা থানাধীন পাঁচনামনা সাকিনের পলির মাঠস্থ বুড়িগাঙ্গের পাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা করে এবং সোহান ফোন দিয়ে সুজনকে ঘটনাস্থলে আসতে বললে সেও পথিমধ্যে ইজিবাইকে উঠে। নদীরপাড়ে বসে তারা ০৪ জন মিলে সজলের আনা লাড্ডু খায়। ভিকটিমি রকি একাই লাড্ডু বেশি খেয়ে নেওয়ায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত সোহানুর রহমান, সজল ও সুজন তাদের পরিকল্পনানুযায়ী সকলে মিলে পিছন থেকে ভিকটিম রকির গলায় রশি পেঁচিয়ে টেনে ধরলে রকির নাক মুখ দিয়ে রক্ত উঠে এবং শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় রকি সেখানেই মারা যায়। সোহানুর রহমান, সজল ও সুজন নিহত রকির মৃতদেহ গোপন করার জন্য চৌগাছা থানাধীন পাঁচনামনা সাকিনের পলির মাঠস্থ বুড়িগাঙ্গের মধ্যে পানির কিনারায় কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে এবং রকির মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। এরপর সোহানুর রহমান, সজল ও সুজন ভিকটিম রকির ইজিবাইকটি চালিয়ে বিক্রয় করার জন্য যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে তারা ভিকটিম রকির মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগটি যশোর চৌগাছা রোডের পাশে ফেলে দেয় এবং ইজিবাইকটি চালিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি আসলে পুলিশের উপস্থিতি দেখে ইজিবাইকটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় মর্মে স্বীকার করে। ধৃত আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু সোহানুর রহমান, শরিফুল ইসলাম সজল ও সুজন হোসেনদের অদ্য ১৯/০১/২০২৫ খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।