জামালপুরের মাদারগঞ্জে রাতে অভিযান চালিয়ে একটি বাল্যবিয়ের আয়োজন ভন্ডুল করেছে পুলিশ। এ সময় বিয়ের বর, তার আত্মীয়স্বজন এবং কনের পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করা হয়সোমবার (১২ মে) দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার বীর ভাটিয়ানি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে.স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণা জেলার এক স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে মাদারগঞ্জে এনে কমল চন্দ্র দাস নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বর-কনের উভয় পরিবারের সম্মতিতে আয়োজন প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। বাড়ির গেট ছিল সুসজ্জিত, তৈরি ছিল বিয়ের প্যান্ডেল ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা।বিয়ের এমন আয়োজন দেখে বিষয়টি স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা জানতে পারেন, মেয়েটির বয়স এখনও ১৮ হয়নি। পরে মানবাধিকারকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিমের মাধ্যমে বিষয়টি মাদারগঞ্জ থানা পুলিশকে জানানো হয়।খবর পেয়ে রাতেই মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন কালি বাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জিয়াকে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠান। পুলিশ উপস্থিত হলে বর পক্ষ ও কনে পক্ষের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তৎপর হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।পরে উভয় পক্ষকে ডেকে এনে মেয়েটির বয়স প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে লিখিত মুচলেকা নেয়া হয়। ওসি হাসান আল মামুন জানান, বাল্যবিয়ের খবর পেয়েই দ্রুত অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। কোনোভাবেই বাল্যবিয়ের মতো বেআইনি কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সচেতনতা এবং মানবাধিকার কর্মীর দ্রুত পদক্ষেপে এই বাল্যবিয়েটি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর নজরদারি রাখা হবে।