পীরগাছায় কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগে শিকার দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ২৪ জুন , ২০২৫ ১৪:৫০ আপডেট: ২৪ জুন , ২০২৫ ১৪:৫০ পিএম
পীরগাছায় কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগে শিকার দুই ইউনিয়নের বাসিন্দা

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ৪নং অন্নদানগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড কানিপাড়া ও ৩নং ইটা- কুমারী ইউনিয়ন চলাচল করা দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কটি দুই ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কাঁচা রাস্তার পুরো অংশজুড়েই খানা-খন্দ আর কাদা-পানিতে ভরপুর। 
অন্নদা-নগর ইউনিয়ন আমতলী বাজার থেকে শুরু করে ৩নং ইটা কুমারী ইউনিয়নের খাল পাড় পর্যন্ত ওই কাঁচা রাস্তার পুরো অংশজুড়েই খানা-খন্দ আর কাদা-পানিতে বিস্ত্রীর্ণ। বছরের পর বছর ধরে সংশ্লিষ্ট সকলের নাকের ডগায় চরম অবহেলায় উন্নয়ন বঞ্চিত ওই কাঁচা রাস্তাটি  এলাকাবাসীর জন্য এখন অভিশাপের কারণ। স্থানীয়রা জানান,প্রতিদিন আশপাশের দুই ইউনিয়নের স্কুল,কলেজ-গামী শিক্ষার্থী কৃষক ও ব্যবসায়ীরা নিয়মিত এই কাঁচা সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় চলাচলে কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে,সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাটি কাদায় পরিণত হয়ে পড়ে,যার ফলে পায়ে হাঁটারও কোনো সুযোগ থাকে না। কানিপাড়ার বাসিন্দা কৃষক আব্দুর রশিদ মিয়া বলেন,আম- রা এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন কৃষিপণ্য বিক্রি করতে নিয়ে যাই। কিন্তু বর্ষায় ট্রলি রিক্সা ব্যাটারিচালিত অটোসহ কোনো প্রকার যানবাহনই এই রাস্তায় চলতে পারে না। ফলে আমারা উৎপাদিত কৃষি পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারছিনা এ কারণে আমাদের কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে। 
স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্র মোঃ শিমুল মিয়া জানায়,বর্ষায় হেঁটে স্কুলে যাওয়া যায় না। কাঁদা আর পানি দেখে ভয় হয়,অনেক দিন ক্লাসও মিস হয়ে যায়। গৃহবধূ ময়না বেগম বলেন,এই রাস্তার কারণে ছেলেমেয়েদের বিয়ে- শাদী নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এবং কোনো রোগীকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদরে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়। ও রাস্তার দুরাবস্থার কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারে না,তাই রোগীকে কাঁধে করে নিতে হয় কখনও কখনও। বিশেষ করে রাত হলে সমস্যাটা আরও বেড়ে যায়। উল্লেখ্য,এই সড়ক পথটি দিয়ে পীরগাছা সদর উপজেলা ডাকু- য়ারদীঘি,বৈরাগী পাড়া,বটতলী ও কালিগঞ্জ,ছোট খালপাড় দিয়ে রংপুর গামী ডিসি রোডে ওঠা যায়,আমতলী বাজারের আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা নিয়মিত চলাচল করেন। এলা- কাটি কৃষি প্রধান হওয়ায় এখান- কার কৃষকরা বিভিন্ন মৌসুমি সবজি উৎপাদন করে,তা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন। কিন্তু রাস্তার করুণ অবস্থার কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে,যার প্রভাব পড়ছে 
উৎপাদনে ও বাজারজাত করণে। 
এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘ- দিন ধরে এই রাস্তাটি কাঁচা থাক- লেও,দুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মসজিদে বসে প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু তা বাস্তবায়ন করেননি। ভোটের সময় ভোট চান ভোটের পরে আর কোন খবর রাখেন না,এমনকি সংশ্লিষ্ট বা কর্তৃপ- ক্ষের সু-নজরে আসেনি। কাঁচা রাস্তাটির বহুবার আবেদন নিবেদন করে এই রাস্তাটি উন্নয়নের দাবি জানানো হলেও,বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। 
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,এই রাস্তাটি পাকা করা হলে দুই ইউনি-য়নের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। পাল্টে যাবে দৃশ্যপট কমবে জনদুর্ভোগ,বাড়বে আয় উন্নতি। 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন জানান,সরজমিনে তদন্ত করে কাঁচা রাস্তাটি দুর্ভোগ কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo