নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সাইবার ওয়ারিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হান আটক।

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৫ মার্চ , ২০২৫ ১৫:০২ আপডেট: ৫ মার্চ , ২০২৫ ১৫:০২ পিএম
নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সাইবার ওয়ারিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হান আটক।

নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি অভিযানের মাধ্যমে ছাত্রলীগের নোয়াখালী জেলার সাবেক সদস্য এবং নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হানকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর তাকে নোয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রমতে, সাইদুর রহমান রায়হানের বিরুদ্ধে সংগঠনকে ব্যবহার করে ছাত্রলীগের কর্মসূচি বাস্তবায়ন, বন্যা পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন, মেয়েদের ব্যবহার করে হ্যানিট্রাপের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও, নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়ার্সের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়হান দীর্ঘদিন ধরে সাইবার অপরাধ ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা শাখা তার কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছিল এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, সাইদুর রহমান রায়হানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই দাবি করছেন যে, ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের নাম ব্যবহার করে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সেচ্ছাসেবী নাকি সেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্যবহার করে নিজের অপরাধ আড়াল করতে চেয়েছে ? অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠনের অভিযোগ, সাইদুর রহমান রায়হান সরাসরি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিল এবং তার প্রতিটি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের ব্যবহার করতো। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে সহযোগী হিসেবে আওয়ামী লীগের দেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি সে তার সংগঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতো।  সে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের কোন শক্তি ছিল না। আন্দোলনে সরাসরি থাকা তো দূরের কথা, বরং সব সময় প্রশাসনকে অবগত করতো কারা এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এক কথায় সে ছিল প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগী। তার সংগঠনে সে সব সময় ক্যাডার বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতো যার মাধ্যমে সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আধিপত্য থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে যেতে। ৫ তারিখের পর সে তার অপকর্মকে আড়াল করতে তার পূর্বের সহযোগীদের বাদ দিয়ে কয়েকজন সমন্বয়ককে ব্যবহার করে নিজেকে একজন সেচ্ছাসেবী হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছে। এমনকি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরেও এই পরিচিতি দিয়ে নিজের অবস্থান সক্রিয় রেখেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo