নিখোঁজের ৬ দিন পর অটোরিকশা চালকের গলিত লাশ উদ্ধার

রফিকুল ইসলাম জিল্লু প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারী , ২০২৪ ১০:২৫ আপডেট: ২৫ জানুয়ারী , ২০২৪ ১০:২৫ এএম
নিখোঁজের ৬ দিন পর অটোরিকশা চালকের গলিত লাশ উদ্ধার
ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের ৬ দিন পর ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা চালক আশরাফুল হোসেনের (১৭) শেয়াল কুকুর মাটি খুড়ে খুড়ে বের করলো গলিত ক্ষতবিক্ষত লাশ। পরে নিহতের বাবা-মা বেল্ট ও প্যান্ট দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন । এঘটনার ১৫ দিন পর হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক রহস্য উদঘাটন করে তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের ৬ দিন পর ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা চালক আশরাফুল হোসেনের (১৭)  শেয়াল কুকুর মাটি খুড়ে খুড়ে বের করলো গলিত ক্ষতবিক্ষত লাশ। পরে নিহতের বাবা-মা বেল্ট ও প্যান্ট দেখে পরিচয় শনাক্ত করেন । এঘটনার ১৫ দিন পর হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক রহস্য উদঘাটন করে তিন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার বর্ণনা দেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আব্দুল্লাহিল কাফি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের বড় কুশিয়ারা এলাকার মাহিদুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম হাসেন (৩২), বড় কুশুড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে শাকিল খান (২৩) এবং মামুরা এলাকার জিন্নত আলীর ছেলে মো. সাকিব (২১)। তারা অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য আশরাফুলকে হত্যা করি বালি চাপা দেয়।

নিহত আশরাফুল হোসেন ভোলা জেলা সদরের বাঘার হাওলা গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের রূপনগর এলাকার মুসলিমনগর হাউজিংয়ে বাবা মায়ের সাথে থেকে ব্যাটারীচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, গত ৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিদিনের মত আশরাফুল হোসেন অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে যান। পরে বিকেল ৪ টার দিকে গ্রেপ্তার আসামিরা অটোরিকশা ভাড়া করে বিভিন্ন স্থান ঘোরাঘুরি করে রূপনগরের আকশির নগর হাউজিং এর ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে গ্রেপ্তাররা আশরাফুলকে গলা চেপে হত্যা করে মরদেহ নির্জন স্থানে ফেলে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে অটোরিকশাটি সাভারের আশুলিয়ায় ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বাটোয়ারা করে নেন তারা। পরে একটি বেলচা সংগ্রহ করে ঘটনাস্থলে আবার যান খুনীরা। সেখানে গর্ত করে আশরাফুলকে বালি চাপা দেন তারা। হত্যাকান্ডের ৬ দিন পর বালু খুড়ে নিহত আশরাফুল হোসেনের গলিত লাশ বের করে শেয়াল-কুকুর। এর পর নিহতদের বাবা মা পরিচয় শনাক্ত করলে তদন্তে নামে ধামরাই থানা পুলিশ। অবশেষে হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গতকাল ২৩ জানুয়ারি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ছিনতাই করা অটোরিকশা ও লাশ পুঁতে রাখার জন্য ব্যবহৃত বেলচাটি উদ্ধার করেন ধামরাই থানার উপপরিদর্শক সুজন শিকদার।

এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুজন শিকদার বলেন, লাশটি গলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদিকে নিহতের বাবা মা লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ছুটে আসেন এবং আশরাফুলের মরদেহ বলে স্বীকার করেন। আসামীরা ধামরাইয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করছিল। খুনীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নি। ফলে লোকাল সোর্স ব্যবহার করে খুনীের শনাক্ত করতে একটু সময় লেগেছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo