তোঁতা পাখি যেন কুড়ে কুড়ে খেল সূর্যমুখী ফুলচাষী,খোরশেদের কপাল

ফাহাদ ইবনে হাশেম প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল , ২০২৪ ১২:৩৬ আপডেট: ২২ এপ্রিল , ২০২৪ ১২:৩৬ পিএম
তোঁতা পাখি যেন কুড়ে কুড়ে খেল সূর্যমুখী ফুলচাষী,খোরশেদের কপাল
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মাইজ পাড়ার খোরশেদ আলমের সূর্যমুখী ফুল বাগান ফুলে ফুলে শোভিত ছিল। ফুল প্রেমিকদের অনেকে ছুটে আসতেন অপরূপ শোভামন্ডিত বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মাইজ পাড়ার খোরশেদ আলমের সূর্যমুখী ফুল বাগান ফুলে ফুলে শোভিত ছিল। ফুল প্রেমিকদের অনেকে ছুটে আসতেন অপরূপ শোভামন্ডিত বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।

ক্ষেতের মালিক ও আশা করেছিলেন এ’ফুল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে। কিš‘ তাঁর বর্ণিল স্বপ্ন নস্যাৎ করে মুখের হাসি কেড়ে নেয় তোঁতা পাখির ঝাঁক। সূর্যমুখী ফুলের কুঁড়ি ও দানা তাদের অতি পছন্দের খাদ্য। তারা ক্ষেতে হানা দেয় খুব ভোরে ঝাঁক বেঁধে এসে। যে কারণে সূর্যমুখী ফুলচাষে এ’বছর লাভবান হতে পারেননি বলে একান্ত এক আলাপচারিতায় জানিয়েছেন ফুলচাষী খোরশেদ আলম।

সাম্প্রতিক সময়ে এলাকা পরিদর্শনকালে তিনি আরো বলেন, সখের বর্শীভূত হয়ে তিনি ২০২৩ সালে ৬ শতক জায়গা আবাদ করে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেন। কেজি প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা মূল্যের উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করে বীজ তলা তৈরি করেন তিনি। চারা সামান্য বড় হলে ওইখানে থেকে তুলে আবাদ জায়গায় সারিবদ্ধভাবে রোপন করেন। প্রথম বছর ফুল চাষে লাভ-লোকসানে সমান ছিল। ২০২৪ সালে তিনি পুণরায় ৫/৬ হাজার টাকা বিনিময়ে উন্নতমানের বীজ সংগ্রহ করে পুণরায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ উদ্যোগী হন। তাঁর বাগানে প্রায় ৬/৭ শত চারা ছিল। ফলন ভালো হলে ৩০/৪০ কেজি দানা সংগ্রহ হত।

প্রতি কেজি দানাতে তৈল পাওয়া যায় ৫শত গ্রামেরও অধিক। কেজি প্রতি প্রায় ২শত টাকা করে বিক্রি করা যায়। উক্ত তেলের চাহিদাও প্রচুর। ফুল পরিপক্ক হলে ওইখান থেকে দানা নিয়ে মেশিনে পিষিয়ে তৈল সংগ্রহ করা হয়।পরিচর্যার বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত পানি, গোবর, সার ও গ্যাস দিয়ে পরিচর্যা করতে হয়। যে কারণে রক্ষণাবেক্ষণে খরচ হয় অত্যাধিক। এ’ছাড়া বাগানের প্রধান শত্রু হল তোঁতা পাখি। ভোরে ঝাঁক বেঁেধ তোঁতা পাখি এসে বাগানের ফুল নষ্ট করে দানা খেয়ে পেলে। তোঁতা পাখির আগ্রাসন থেকে বাগান রক্ষা করার জন্য বাগানের উপরে সুতার নেট দিয়ে ডেকে দিলেও তোঁতা পাখি ধারাল ঠোঁট দিয়ে নেটের সুতা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে পুরো বাগানই তছনছ করে ফেলে।

যে কারণে এ বছর ও তোঁতা পাখির আগ্রাসন থেকে বাগানের ফুল রক্ষা করতে পারেননি তিনি। ফলে তিনি এ বারের সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভবান হওয়ার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বেশি। তিনি আরো বলেন, আগামীতে তোঁতা পাখির আগ্রাসন থেকে বাগান রক্ষা করার জন্য ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পুরোদমে পুণরায় এ ফুলের চাষ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ ফুল চাষে ঝুঁকে পড়েন বলে জানিয়েছেন আলাপচারিতায় ফুলচাষী খোরশেদ আলম। কারণ, এ ফুলের তেলের দাম খুবই বেশি এবং সকলের কাছে খুবই প্রিয়। সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে তিনি এ সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃতকার্য হবেন বলে উল্লেখ করেন।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo