বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন একটি দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে "জাতীয় নাগরিক পার্টি" (এনসিপি)। গত ২৮শে ফেব্রুয়ারী ঢাকার মানিক মিয়ার অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে এই নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দেওয়া হয়। নোয়াখালী থেকে নির্বাচিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদের সদস্য।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটলেও, শহীদ মিনারে ঘোষিত অভ্যুত্থানের এক দফা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামো থেকে ফ্যাসিবাদের সকল উপাদান ও কাঠামোকে বিলোপ করতে এবং জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপদানের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠিত হয়েছে।
নোয়াখালী থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মধ্যে
সুলতান মুহাম্মদ জাকারিয়া (যুগ্ম আহ্বায়ক), মো নিজাম উদ্দিন (যুগ্ম সদস্য সচিব),
আব্দুল হান্নান মাসুদ (সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়ক) আব্দুজ জাহের(যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক), তুহিন ইমরান এবং নফিউল ইসলাম(সদস্য) উল্লেখযোগ্য। তারা নতুন রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম পরিচালনা ও সংগঠন গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হিসাবে জনাব নাহিদ ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসাবে জনাব আখতার হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম বীরযোদ্ধা শহীদ ইসমাঈলের বোন জনাব মিম আক্তার এই ঘোষণা করেন। আহ্বায়ক কমিটি আগামী ১ বছরের মধ্যে দলের গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার প্রণয়ন, কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক বিস্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
নোয়াখালীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দলের সফলতা কামনা করেছেন।
কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন ইমরান বলেন, "বাংলাদেশে দশকের পর দশক ধরে যে বাইনারি রাজনীতি চলে আসছে তরুণদের নেতৃত্বে সেটি ভাঙ্গতে যাচ্ছে। অলিগার্ক তথা গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থ রক্ষার যে বাংলাদেশ আমরা দেখে আসছি সেটির বিলোপ জাতীয় নাগরিক পার্টির মাধ্যমে হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একটি মধ্যমপন্থী দল হিসেবে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি করতে চাই। নোয়াখালীর মানুষ তুলনামূলক রাজনীতি সচেতন। এই অঞ্চলকে জাতীয় নাগরিক পার্টির দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ৷ আর এজন্য ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা আমরা কামনা করছি।"
জাতীয় নাগরিক পার্টির নোয়াখালী শাখা আগামী দিনগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও সমাবেশের মাধ্যমে দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করবে এবং তাদের সমর্থন আদায়ে কাজ করবে। নোয়াখালীবাসীর আশা, এই নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।