ময়মনসিংহের নান্দাইলে চাঞ্চল্যকর মুরাদ হত্যা মামলার মূল আসামী ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম (১৭)কে শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমানের উঠার আগেই বিমান বন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় নান্দাইল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের বিষয়টি নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চলাকালে স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পে নির্বাচনী প্রচারণায় লিফলেট বিতরণ করছিলেন কলেজ ছাত্র মুরাদ সহ অনেকেই। এ সময় তাদের এই নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থীর সমর্থক স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা। তারা ওই সময় স্বতন্ত্রপ্রার্থীর পে প্রচারণাকারীদের মারধর সহ ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতারা দৌঁড়ায়ে স্থানীয় চন্ডীপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠের কিনারায় নিয়ে মুরাদ সহ অনেকেই লাঠি সোঠা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে অন্যরা সামান্য আহত হয়ে পালিয়ে রা পেলেও মুরাদ মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম মুরাদের বুকের উপর উঠে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে তাকে। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তিনি মারা যান। এরপর থেকেই মুলহোতা হামিম পলাতক ছিলেন। জানাযায়, অভিযুক্ত হামিম উপজেলার আলাবক্সপুর গ্রামের মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি স্থানীয় শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। নিহত মুরাদ হচ্ছেন নান্দাইল পৌর সভার কাকচর মহল্লার মো. তফাজ্জল হোসেনে পুত্র। এ ঘটনায় নান্দাইল মডেল থানায় মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা হয়। এ ব্যাপারে নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ জানান, 'চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছিল। এই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিক্তিতে জানাযায়, হত্যার মূল হোতা হামিমের বিদেশ যাওয়ার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যে কোনো সময় বিদেশ পাড়ি দিতে পারে। এ অবস্থায় গত শুক্রবার কাতার যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তেই তাকে গ্রেপ্তার করতে সম হয় পুলিশ।