বিএনপির ডাকা টানা দ্বিতীয় দিনের অবরোধে সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সমর্থকদের ব্যানার হাতে ঝটিকা মিছিল ও টায়ারে আগুন দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর আগে গত রবিবার রাত দশটার দিকে জেলার দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামের ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে টায়ার জাঙ্গালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
নাশকতা এড়াতে ঘটনাস্থলে দাগনভূঞা থানা প্রশাসন গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পর একই এলাকার চাঁন মিয়ার ব্যাপারী বাড়ির মামুদুল হক মিয়ার ছেলে ফেনী জেলা যুবদলের সদস্য নাসির উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় নাসিরের বাড়ির দরজা, জানালায় চুরি চাপাটি দিয়ে আঘাত করে তারা। এক পর্যায় তাদের বাড়ির তালা ভেঙে ঘরে ডুকারও চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা।
সরে জমিনে গিয়ে জানাযায়, রবিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে একদল ক্যাডার বাহিনী মটরসাইকেল যোগে এলাকায় প্রবেশ করে বিএনপি নেতা নাসিরের বাড়িকে উদ্দেশ্যে করে চুরি, ধামা, চাপাটি নিয়ে এলোপাতারি বাড়ির দরজা, জানালায় কোপাতে শুরু করে। এক পর্যায় কাউকে বাড়িতে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে চলে যায় তারা। এলাকাবাসী ভয়ভীতিতে ঘরের বাইরে না আশায় কাউকে দেখতে পায়নি বলেও জানান স্থানীয়রা।
ফেনী জেলা যুবদলের সদস্য নাসির উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক বিজয় বাংলাদেশকে জানান, গত রবিবার যুবলীগের সন্ত্রাসীরা টায়ার জ¦ালিয়ে রাস্তায় আগুন দিয়ে তার দায়-ভার বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর চালিয়ে দেয়। তার জের ধরেই সেসব সন্ত্রাসীরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় বাড়ির দরজা, জানালায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাড়ির আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে সন্ত্রাসীরা। তিনি আরও বলেন, রাজনীতির জবাব হবে মাঠে। বাড়িতে গিয়ে মা-বোনদের হুমকি দেয়া কোনো সুষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। ঘটনার বিষয়ে দাগনভূঞা থানা অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমারা পাইনি। তবে গত রবিবার রাতে টায়ার জাঙ্গালিয়া সড়ক অবরোধ করার ঘটানার পর আমরা অভিযান পরিচালনা করি।