জড়াড়ীর্ণ একটি ব্রীজ, সীমাহিন দুর্ভোগ ভোলার দুই এলাকার শত শত বাসিন্দার

শরীফ হোসাইন প্রকাশিত: ১ জুলাই , ২০২৫ ১৬:০০ আপডেট: ১ জুলাই , ২০২৫ ১৬:০০ পিএম
জড়াড়ীর্ণ একটি ব্রীজ, সীমাহিন দুর্ভোগ ভোলার দুই এলাকার শত শত বাসিন্দার
ব্রীজের উপর কাঠের পাটাতন দিয়ে যাতায়াত করছে ভোলার দুই এলাকার মানুষ

 ভোলার লালমোহন উপজেলায় একটি জরাজীর্ণ ব্রীজে সীমাহিন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই ইউনিয়নের শত শত বাসিন্দারা। উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাদিরাবাদ এলাকার তালপাতা বাজার ও পার্শ্ববর্তী বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বড়পাতা এলাকার সংযোগস্থল এ ব্রীজটির অবস্থান। এই ব্রীজটির নাম নিয়েও রয়েছে মতভেদ। লালমোনহ এলাকার মানুষ বলে তালপাতা ব্রীজ আর বোরহানউদ্দিন এলাকার মানুষ বলে বড় পাতা ব্রীজ নামে। দুই উপজেলার সংযোগস্থল হওয়ায় ব্রীজটি মেরামতের জন্য কেউই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। যার ফলে নির্মাণের পর থেকে বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে ব্রীজটি। বর্তমানে ব্রীজের ওপর কয়েকটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবুও যাতায়াতের তাগিদে ওই ভাঙ্গা ব্রীজের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে কোনো রকমে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তালপাতা বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা মহিন পাটোয়ারী এবং হাসান হাওলাদার জানান, এ ব্রীজটি দুই উপজেলার দুই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করেছে। তবে নির্মাণের পর থেকে ব্রীজটি কোনো ধরনের সংস্কার না করায় এখন জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। বিগত ১০ বছরের মতো এই অবস্থা। তবে গত ৩-৪ বছর ধরে ব্রীজটি আরো বেহাল হয়ে গেছে। ব্রীজটির মাঝে কয়েকটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য দুই পাড়ের বাসিন্দাদের উদ্যোগে ব্রীজটির ওপর দিয়ে কাঠের পাটাতন দেয়া হয়েছে। এতেও ঝুঁকি কমেনি। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজটির ওপর দিয়ে চলাচল করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নারী-পুরুষরা। তবে দিন যতই যাচ্ছে ততই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে ব্রীজটি।
তারা আরো জানান, এই ব্রীজটি মেরামতের জন্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। তবে ব্রীজটি লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের সংযোগস্থল হওয়ায় তিনি কোনো কাজ করতে পারছেন না বলে জানান। চেয়ারম্যান দুই ইউনিয়নের দোহাই দিয়ে ব্রীজটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেননি। অথচ এই ব্রীজটি দিয়ে বদরপুর ও দেউলা ইউনিয়নের মানুষজন প্রয়োজনের তাগিদে এপার-ওপার যাতায়াত করেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি ব্রীজটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া না হয়, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে খালের ভেতর ধসে পড়তে পারে। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রীজটি দ্রুত মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এলজিইডির লালমোহন উপজেলা প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, ওই ব্রীজের ব্যাপারে আগে কেউ আমাকে জানায়নি। তবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ছবিসহ আমার কাছে আবেদন করলে তা মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo