জামালপুরে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতায় মেধা ও যোগ্যতার মাপ কাঠিতে এক শত বিশ টাকায় আবেদন ফি দিয়ে ৩২ জন নারী ও পুরুষ পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। বুধবার (১৪ মে) রাত ৮টায় শহরের পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে কনস্টেবল পদে চাকরির চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম সেবা উপস্থিত থেকে সকলের সামনে মাইকে ২৯ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী কনস্টেবল নির্বাচিত করেন। পরে তিনি সবাইকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও তাদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন।জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, মেধা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে মোট ৯টি ধাপ অতিক্রম করে প্রতিযোগিতায় যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে তারা আসতে পেরেছে। প্রাথমিকভাবে ৩২ জনকে বাছাই করা হয়। পরবর্তী সময়ে ফিজিক্যাল টেস্ট ভেরিফিকেশন করে ট্রেনিং শেষ করেই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করবে।তিনি আরো বলেন, মেধা মনোবল যোগ্যতা থাকলে পুলিশের চাকরি পেতে টাকা-পয়সা লাগে না। পুলিশের এই মাঠে প্রমাণ করে দিল ৩২জন নিয়োগ প্রাপ্তরা। তদবির, চাকরি বাণিজ্যকে কঠোর হস্তে লাগাম টেনে ধরে ছিলেন জামালপুর পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম পিপিএম সেবা। ঘুষ ছাড়া পুলিশের চাকরি হয় সেটি প্রমাণ করে দিলেন। মেধা যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন চাকরি পেয়ে সবাই খুশি আনন্দিত। কারো কারো জীবনে অভাবের সংসারে পরিবারের হাল ধরার জন্য চাকরি একমাত্র সম্বল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। জামালপুর পুলিশ লাইন্সের মাঠে অভিভাবকদের চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে। অধিকাংশই চাকরি পেয়েছেন নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যরা। যাদের পক্ষে টাকা খরচ করে চাকরি পাওয়া দুঃস্বপ্ন ছিল। স্বচ্ছতার মধ্য দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে দুঃস্বপ্নের বেড়াজাল ভেঙে চাকরি হওয়ায় অভিভাবকরা অভিনন্দন জানিয়েছেন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের।সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার মাধ্যমে অনেক কঠিন ধাপগুলো পেরিয়ে শারীরিক সক্ষমতা ও মেধা প্রমাণ করে সরকারি ফি ১২০ টাকা খরচ করে প্রাথমিক ভাবে ৩২ জন পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।