কুমিল্লার চান্দিনায় ৪জন জনপ্রতিনিধির পদত্যাগের ১ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
এসময় তারা পৃথক মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছে। স্ব-স্ব ইউনিয়নের সাধারণ জনগণও এসময় ছাত্রদের সাথে একাত্মতা করেন।রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে ওইসব জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন ৯নং মাইজখার ইউনিয়নের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতারা।
তারা অভিযোগ করেন ছাত্রদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ৯নং মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ মো. সেলিম প্রধান, ওই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আবুল বাশার এবং ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. জহিরুল ইসলাম সহ সন্ত্রাসীরা। তারা রামদা, ছুরি, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিলো। ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির বিপরীতে অবস্থান নেওয়ায় এই জনপ্রতিনিধিদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে তারা দাবি ও অভিযোগ উল্লেখ করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।অপরদিকে বেলা ২টায় কেরণখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুমন ভূইয়া’র বিভিন্ন অত্যাচার, অনিয়ম, জন্মনিবন্ধন, প্রত্যয়নপত্র, ট্রেড লাইসেন্স সহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে হাজার হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ এনে পদত্যাগ দাবি করেন ওই ইউনিয়নের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
এসময় তারা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন- ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মো. হানিফ সেবা গ্রহিতাদের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন। তাদের কারণে ইউনিয়নের মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মো. সোয়াইব জানান, মাইজখার, কেরণখাল এবং এতবারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা অফিসে আসে না। সেবা বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।