নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার কচুয়া-শাহাপুর সড়কে বেহাল দশায় প্রায় ৩কিমি সড়কে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এসড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শত শত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার কচুয়া-শাহাপুর সড়কে বেহাল দশায় প্রায় ৩কিমি সড়কে যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এসড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী শত শত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
বন্যায় চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এসড়কটি জরুরি ভাবে সংস্কার একান্ত প্রয়োজন। সরেজমিনে গিয়ে বিভিন্ন সূত্রে জানান যায়, সড়কটি কয়েক বছর আগে মেরামত করা হলেও শিডিউল মোতাবেক মেরামত না করায় অতিঅল্প সময়ে সড়কের পিচ ঢালাই উঠে যায়। প্রায় দেড় মাসব্যাপী সড়কের অধিকাংশ জায়গায় বন্যার পানি স্থায়ী থাকায় যানবাহন চলাচলের কারণে প্রায় সোয়া ১কি.মি রাস্তা খানাখন্দে ভরে উঠেছে। যার কারণে যানবাহন চলাচল ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনের তাগিদে চাটখিল ও রামগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
সিএনজি চালক মনির হোসেন জানান পেটের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে আমরা এরাস্তায় চলাচল করে থাকি। খানাখন্দক থাকায় প্রায় প্রতিদিনই আমাদের গাড়ি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
শাহাপুর বাজার এলাকায় বাসিন্দা মাওলানা হাছান আহমেদ জানান, প্রতিদিন এসড়কে চলাচল করতে দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকতে হয়। মরণফাঁদ যানবাহন গুলো এ সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে।
এছাড়াও ৩কিমি পথ পাড়ি দিতে দীর্ঘ সময় লাগে। প্রভাষক জসিম মাহমুদ বলেন, আমরা প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় শাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ খোকন সড়কটি দ্রুত মেরামতের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাহাদ আমিন পাটওয়ারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সড়কটির বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, জনগুরত্বপূর্ণ এ সড়কটি সম্পূর্ণরূপে নতুন আঙ্গিকে সিসি ঢালাই এর মাধ্যমে উভয় পাশে বর্ধিত করার প্রাক্কলন তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জমা দেওয়া হয়েছে। আশা করি অতি অল্প সময়ের মধ্যে কচুয়া-শাহাপুর-বটতলি সড়কটি দরপত্র খুব শীঘ্রই আহ্বান করা হবে এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে সড়কটি নতুন রূপে কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।