চাটখিলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা

মোঃ হানিফ প্রকাশিত: ২০ জুন , ২০২৪ ০৯:০৯ আপডেট: ২০ জুন , ২০২৪ ০৯:০৯ এএম
চাটখিলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা
আদালতে দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, খিলপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়ার বাড়ির রহিম ও রিপন নামের দুই যুবক স্থানীয় সেলিমের রিকুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসার জন্য লেনদেন করে। ঐ লেনদেনের স্বাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া (৫২)। ভিসা সংক্রান্ত মৌখিক চুক্তি মোতাবেক সেলিম, দুই যুবক কে সৌদি আরবে পাঠিয়ে কোম্পানিতে চাকুরীর ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে ঐ দুই যুবক কোম্পানি থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করায় নিয়োগকারী কোম্পানি তাদের কে আকামা করে দেয়নি। এতে ঐ দুই যুবকের পরিবার সিরাজ মিয়া কে চাপ সৃষ্টি করেন তিনি যেন সেলিম কে বলে তাদের কে সৌদি আরবে আকামা করে দেয়।

চাটখিল উপজেলার ২নং রামনারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ (বাহার) সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়ার আইনজীবী এ.কে.এম সারোয়ার ই আলম বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
 
আদালতে দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, খিলপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়ার বাড়ির রহিম ও রিপন নামের দুই যুবক স্থানীয় সেলিমের রিকুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসার জন্য লেনদেন করে। ঐ লেনদেনের স্বাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী সিরাজ মিয়া (৫২)। ভিসা সংক্রান্ত মৌখিক চুক্তি মোতাবেক সেলিম, দুই যুবক কে সৌদি আরবে পাঠিয়ে কোম্পানিতে চাকুরীর ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে ঐ দুই যুবক কোম্পানি থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করায় নিয়োগকারী কোম্পানি তাদের কে আকামা করে দেয়নি। এতে ঐ দুই যুবকের পরিবার সিরাজ মিয়া কে চাপ সৃষ্টি করেন তিনি যেন সেলিম কে বলে তাদের কে সৌদি আরবে আকামা করে দেয়। 

এঘটনায় ঐ দুই যুবকের পরিবার স্থানীয় গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে সেলিম গ্রাম আদালতের সালিস বৈঠকে জানায়, তারা নিয়োগকারী কোম্পানি থেকে পালিয়ে গিয়ে অন্য কোম্পানিতে কাজ করে এজন্যই তাদের কে নিয়োগকারী কোম্পানি আকামা করে দেয়নি। পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাহার ফোন করে সিরাজ মিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে তিনি সহ তার লালিত সন্ত্রাসীরা বেদম পিটিয়ে ১০০টাকা মূল্যের তিনটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করি নেয়।
 
সিরাজ মিয়া জানান, এই ঘটনার পর তিনি থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে সিরাজ মিয়া নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৭নং আমলী) আদালতে জিডি এন্ট্রির আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে চাটখিল থানা পুলিশ জিডি এন্ট্রি করে। পরবর্তীতে সিরাজ মিয়া শারীরিক নির্যাতনের বিচার চেয়ে ও স্বাক্ষর নেওয়া খালি স্ট্যাম্প ফেরত পেতে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এবিষয়ে চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বাহারের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি, সিরাজ মিয়া কে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও শারীরিক নির্যাতন করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo