চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাগলা নদীর উপরে সেতু নির্মানে বিলম্ব হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার

মোঃ মাইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:১৯ আপডেট: ২৮ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:১৯ পিএম
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাগলা নদীর উপরে সেতু নির্মানে বিলম্ব হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জের জনগণের বহু কাঙ্খিত পাগলা নদীর উপর সেতু নির্মানের কাজ থমকে গেছে জমি অধিগ্রহন সহ নানা জটিলতার কারণে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জের জনগণের বহু কাঙ্খিত পাগলা নদীর উপর সেতু নির্মানের কাজ থমকে গেছে জমি অধিগ্রহন সহ নানা জটিলতার কারণে। তিন বছর মেয়াদের এ সেতুর কাজ গত দেড় বছরের মাত্র ৪৫% কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দুই দিকে প্রায় ৩৪/৩৫ বাড়ি দীর্ঘ দিনে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে সেতু নির্মান কাজ বলে জানান সেতু নির্মানে সংশ্লিষ্ট মিস্ত্রীগণ। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন আগামী ২০২৬ সালে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে। উচ্ছেদের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরেজমিনে সেতৃ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাত্র দুটি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাকীগুলোর কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে। সরঞ্জামাদি দীর্ঘদিন যাবত চারিদিকে পড়ে আছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ শুরু থেকে সেতু নির্মানের কাজে অনিয়ন করায় এলকাবাসী বাধা দিয়েছিল। যা তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম দূর করা হয়েছে । তবে এখনো সেতু নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে আমাদের ধারণা। সেতু নির্মান সামগ্রী খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে রোদে পুড়ছে, বৃষ্টিতে ভিজছে। কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই। তারা আরো জানান সেতু নির্মানের কাজ শুরু করার পর ঠিকাদার বন্যা, বৃষ্টি ও নদী বিলাসের জমি অধিগ্রহনের অজুহাতে তিন দফা কাজ বন্ধ রেখেছিল। পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ন সেতু নির্মান(২য় পর্যায়ে)প্রকল্পের আওয়াতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: মইন উদ্দিন আহম্দে মুন্টু নাম দিয়ে ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর তারিখে সেতুটির উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সামিল উদ্দিন আহেমেদ শিমুল। ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ কোটি ৫৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৮ টাকা। সেতুটি দীর্ঘ ১৭২. ৩০০ মিটার। সেতুটির উদ্বোধন করেন সাবেক সংসদ সদস্য গত ২০২৩খ্রী: ১৪ অক্টোবর । সেতুর দুই দিকে সরকারী জমিতে বাড়ি করে বসবাস করছে অনেকগুলো পরিবার। যেগুলি উচ্ছেদ না করলে সেতু নিমানের কাজ শেষ করা অসম্ভব হবে না বলে জানান সেতু নির্মানের নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা। এলাকাবাসী সহ কয়েকটি সূত্র মতে বেলী সেতু নিমার্নের সময় ৯ জনের দুই একর ৩৯ শতক জমি ১৯৯১-১৯৯২ সালে অধিগ্রহন করা হয়েছে । কিন্তু মাত্র দুইজনকে অধিগ্রহনের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে বলে নথি সূত্রে জানা গেছে। বাকী সাতজন কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি। তবে সকলেই অধিগ্রহন কৃত জমিতে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছে। তারা জানান আকস্মিক জানান গত ০৫-০৩-২০২৪খ্রী: তারিখে জেলা এলজি ই ডি অফিস, নং ০১-২০২৯১-২০৯২ মোতাবেক সাত জনের নামে অধিগ্রহন কৃত জমি থেকে, সাত দিনের মধ্যে সরে যাবার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা বলছেন আমাদের যাবার মত সামর্থ নেই। তারা গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রী: তারিখে এলাকাবাসী সহযোগিতা চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট একটি আবেদন করেছেন।অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন সেতুর দুই পাশে ৩৪টি বাড়ি উচ্ছেদের জন্য চাঁপাইনবাবঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর দুই বার আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পযন্ত উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এ ব্যাপারে সেতুর ঠিকাদার আব্দুল মান্নান স্থানীয়দের অভিযোগ স্বীকার করে জানান সেতুর দুই দিকে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহন ও উচ্ছেদ না হলে সেতুর কাজ শেষ হবে না । সেতুর কাজ সুচারুভাবে চলছে। খুব শীঘ্রই শেষ হবে। উচ্ছেদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি আরো জানান এ পর্যন্ত সেতুর কাজ ৫৫% শেষ হয়েছে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হবে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, সেতু নির্মানের জন্য অধিগ্রহনকৃত জমি থেকে বাড়ি ঘর উচ্ছেদের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন সেতুর দুই দিকে জমি গ্রহন করত: বাড়ি ঘর উচ্ছেদের ব্যাপারটি প্রক্রিয়াধীন আছে। আশা করি খুব শীঘ্র্রই উচ্ছেদ হবে এবং যথা সময়ে সেতুর কাজ শেষ করা হবে। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo