গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন বিষয়ক যুব কর্মশালা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর , ২০২৪ ২২:৪০ আপডেট: ২৬ নভেম্বর , ২০২৪ ২২:৪০ পিএম
গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন বিষয়ক যুব কর্মশালা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত
গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন বিষয়ক যুব কর্মশালা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত

যশোর জেলায় গ্রাম আদালতে সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একারনে  চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর ১ হাজার ১৩৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান হয়েছে ১ হাজার ৬৬টি। সমাধানের হার ৯৩ দশমিক ৯২ শতাংশযশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট  সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন বিষয়ক যুব কর্মশালায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায়প্রকল্পের প্রোগ্রাম এনালিস্ট শরীফা পারভীন প্রকল্পপরিচিতি, প্রকল্পের অগ্রগতি ও জেলার গ্রাম আদালতের মামলার তথ্য জানান। তার উপস্থাপন করা তথ্যে জানানো হয়, দায়েরকৃত১ হাজার ১৩৫টি মামলার মধ্যে  সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের দায়ের করা ৯৮৮ মামলা, উচ্চ আদালত থেকে প্রেরিত ১৪৭ মামলা, দেওয়ানী মামলা ৫৮২ ও ফৌজদারী মামলা  ৫৫৩টি। এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারী  ৮০৭টি। এর হার  ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ। নারী আবেদনকারী ৩২৮টি। এর হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। ২৬৭ নারী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পেয়েছে। গ্রাম আদালতে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়া প্যানেল সদস্য হিসেবে নারীর অংশ গ্রহন ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এর দায়েরকৃত মামলার মধ্যে সমাধান হয়েছে ১ হাজার ৬৬টি মামলা। ক্ষতিপুরণ আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ৪২০ টাকা।সভাপতি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার   বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান।সভা সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এই সভার মূল উদ্দেশ্য হলো যুবকদের গ্রাম আদালত বিষয়ে অবগত করা, জেন্ডার বিষয়ে ধারনা প্রদান। যাতে তারা এলাকায় ফিরে গিয়ে তাদের পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মানুষের মধ্যে গ্রাম আদালত বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারে। উচ্চ আদালতের মামলা জট কমানোর লক্ষ্যে সরকার গ্রাম আদালতকে সক্রিয়করণ করছে। অথচ গ্রাম আদালত সম্পর্কে মানুষ জানে না। মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা বৃদ্ধির জন্যই আজকের এই সমন্বয় সভা।গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা বিষয়ে আলোচনা করেন গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার অ্যাডভোকেট মহিতোষ কুমার রায়, জেন্ডার স্পেশালিস্ট শামীমা আক্তার শাম্মী ইউএনডিপি জেন্ডার, নারী-পুরুষের বৈষম্য দূরীকরণ, অন্তভূক্তিমূলক গ্রাম আদালত নিশ্চিতকরণে যুব সমাজের ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় আলো বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়নের উপপরিচালক শাহীদুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, জেলা সহকারী তথ্য অফিসার রমজান আলী, গ্রাম আদালতের প্রকল্প সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।কর্মশালা পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারজানা ইসলাম ।যশোর জেলায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ও গ্রাম আদালতে নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অংশ গ্রহণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত গ্রাম আদালত জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন বিষয়ক যুব কর্মশালার আয়োজন করা হয়। দাতাসংস্থা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপি এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়িত বাংলাদেশে গ্রাম সক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতকে  সক্রিয় করার লক্ষ্যে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo