জলঢাকা বুড়িতিস্তার বাঁধে ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপার,এলাকাজুড়ে আতঙ্ক

মোঃ আব্দুল আলিম প্রকাশিত: ২৫ জুন , ২০২৪ ১৪:১৮ আপডেট: ২৫ জুন , ২০২৪ ১৪:১৮ পিএম
জলঢাকা বুড়িতিস্তার বাঁধে ধরা পড়ল রাসেলস ভাইপার,এলাকাজুড়ে আতঙ্ক
প্রত্যক্ষদর্শী কৃষক মোঃ গফরান (৩০) জানান,তিনি প্রত্যেকদিনের মতো আজকেও ঘাষ কাটতে নদীর চড়ে যাচ্ছিলেন।বাঁধে রাখা নৌকাটিতে উঠতেই দেখতে পান একটি অচেনা সাপ তাকে দেখে ফুসফুস করে তেড়ে উঠছেন।এসময় ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে স্হানীয় লোকদের খবর দিলে সবাই মিলে লাঠিসোঁটা দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন।এরপর তার পেট থেকে বের হয় এক-এক করে ২৯ টি বাচ্চা সাপ।তবে সাপটি মেরে ফেললেও উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নীলফামারীর জলঢাকায় ২৯টি বাচ্চাসহ একটি রাসেল ভাইপার সাপ ধরা পড়ায় এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের আলসিয়া পাড়ায় বুড়িতিস্তা নদীর বাঁধে একটি নৌকা থেকে এ রাসেল ভাইপার সাপটির দেখা মিলেছে।এদিকে, দেশজুড়ে আলোচিত এ বিষধর সাপ আটকের খবর পেয়ে শত শত গ্রামবাসী সাপটি দেখতে ভিড় জমায়। 

প্রত্যক্ষদর্শী কৃষক মোঃ গফরান (৩০) জানান,তিনি প্রত্যেকদিনের মতো আজকেও ঘাষ কাটতে নদীর চড়ে যাচ্ছিলেন।বাঁধে রাখা নৌকাটিতে উঠতেই দেখতে পান একটি অচেনা সাপ তাকে দেখে ফুসফুস করে তেড়ে উঠছেন।এসময় ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে স্হানীয় লোকদের খবর দিলে সবাই মিলে লাঠিসোঁটা দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন।এরপর তার পেট থেকে বের হয় এক-এক করে ২৯ টি বাচ্চা সাপ।তবে সাপটি মেরে ফেললেও উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে রাসেল ভাইপার সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন,তিনি ঘটনা শোনার সাথে-সাথেই সেখানে গেছেন এবং থানায় অবগত করে সবাইকে আতঙ্ক না হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ জোবায়ের আলমকে একাধিক বার কল দিলে তিনি গাড়িতে থাকার কথা বলে ফোন কেটে দেন।তবে বন অফিসের কর্মচারী প্রদীপ কুমার জানান,তিনি বন কর্মকর্তা স্যারের নির্দেশে সেখানে গিয়ে নিশ্চিত হন এটি রাসেলস ভাইপার সাপ।পরে স্যারের নির্দেশে স্হানীয় মানুষকে সাপটিকে মাটিতে পুতে ফেলতে বলেন।

জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু হাসান মোঃ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, রাসেল ভাইপার  একটি বিষাক্ত সাপ।লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হয়।সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দিতে পারলে কোনো ক্ষতি হয় না।আমাদের হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমান ভ্যাকসিন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন,এ সাপটি ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়।এরা বছরের যেকোনো সময় বাচ্চা প্রজনন করে।একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০-৪০ টি বাচ্চা দেয়।সাপটি দেখে আতঙ্কিত না হয়ে উপস্থিত বুদ্ধি খাটিয়ে সচেতন থাকতে হবে।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo