কেন্দুয়ায় মাছ ও কলার ছড়ি কাটার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজমান : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসীর
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পুকুরের মাছ ও কলার ছড়ি কেটে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে কয়েকদিন যাবত ।
গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামে বর্তমান ইউপি সদস্য ও ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল হক সবুজ এবং সভাপতি মো. আলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে মাছ ও কলার ছড়ি নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ।
পরদিন অর্থাৎ গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) মাছ ও কলার ছড়ির দাবিদার একই ওয়ার্ডের মো. আঞ্জু মিয়া উপরে উল্লেখিত দু'জনসহ ১২ জনের নামোল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ।
তবে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এক ভিন্ন ঘটনা । এখানে রয়েছে ৬টি পুকুর ও ১০ একর জমি । শক্তি সামর্থ্যের জোরে দখলে রেখেছেন কেউ কেউ । যা এলাবাসীর কাম্য নয় । পুকুর ও ভূমির প্রকৃত মালিক মলয় বিহারি /বিশ্বাস । তিনি পরলোকে গেছেন প্রায় দুই দশক আগেই । তাঁর সন্তানেরাও দেশের বাইরে থাকেন দীর্ঘকাল । শেষ এলাকায় এসেছিলেন তাদের বাবার মৃত্যুর পর । তখন থেকেই এই পুুকুর ও ভূমি দেখাশুনা করতেন স্থানীয় শ্রী দিপালী রানী দাসের (৪৫) দাদা । পরবর্তীতে দিপালীর স্বামী শ্রী সমবু চন্দ্র দাস । স্বামী মারা যাওয়ার পর দিপালী একা ও পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েন । এ দিকে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ভূমি দস্যুরা শক্তি ও কথিত আছে আওয়ামী রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় ছোট খাটো ইস্যু তৈরি করে অসহায় দিপালী ও দুই কন্যাকে ঘর ও এলাকা ছাড়া করেন । পরে তারাও জীবিকার সন্ধানে পাড়ি দেন শহরে ।
সম্প্রতি উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে দিপলী (৫৩) ও তার এক মেয়ে সবিতা (২০) এলাকায় আসেন । আশায় বুক বাধেন আবার তারা নিজ এলাকায় থাকতে পারবেন । কথা তাঁর সাথে । তিনি বলেন, আমার দাদা, পরে আমার স্বামী ও আমারাই এগুলো দেখাশুনা করতাম । কিন্তু সাবেক মেম্বার সুরুজ আলী, তাঁর ছেলে দিলু মিলে আমাদেরকে উচ্ছেদ করেন । আমি পথে পথে ঘুরেছি । উপায়ন্তর না পেয়ে ঢাকায় চলে যাই ও ওখানেই কাজ করে খাই । তিনি আরো বলেন, আমাকে যারা অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করেছিলো তাদের কাছ থেকে সবকিছু উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী । আমি চাই সত্য উন্মোচিত হোক ।
স্থানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণের সাথে কথা হলে তারাও চান, দিপালী যেনো তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পায় । আগের মতো সুন্দর ও নিরাপদ জীবন যাপন করেন । তারা আরো বলেন, অন্যথায় প্রশাসন এই সব সম্পত্তির রাষ্ট্রীয় দেখভালের দায়িত্ব নিক । তাহলেই এই এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে ।
মাছ ও কলার ছড়ি লুটে অভিযুক্ত মোঃ এনামুল হক সবুজ বলেন, আমার নেতৃত্বেই নয় পুরো এলাবাসীর উদ্যোগে দখলদার আঞ্জুর কাছ থেকে উদ্ধার করে কেয়ারটেকার দিপালীকে বুঝিয়ে দেয়া হবে । কোন আওয়ামী বা অন্য কেউ যাতে ভোগদখল না করতে পারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
এ বিষয়ে (২৪ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদার হোয়াটসঅ্যাপে জানান, এ মুহূর্তে আমি নেত্রকোণায় একটি মিটিং এ আছি এবং তিনি আশ্স্ত করে লিখেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।