পুব আকাশে তিমির বিনাসী লোহিত বর্ণের গনগনে এক সূর্যের উদয়। পুরনো কে বিদায় জানিয়ে ঝকঝকে তকতকে কিরণ মাখা সে সূর্য ধরা তলে নিয়ে এলো আরেকটি নতুন সকাল। ফিস ফিসিয়ে কানে কানে বলল নিয়ে এলাম আরেকটি নতুন বছর। আজ পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। পুরনো কে বিদায় জানিয়ে নতুনের শুভাগমনের দিন।
সকাল ৯ টায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ প্রদক্ষিণের মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করে কুমারখালীবাসী।
একদিকে বাঙালির চিরচেনা সংস্কৃতি ও কৃষ্টি কালচার পালকি, বর -বউ, হর- পার্বতী, মোষের গাড়ি, গরুর গাড়ি, তালপাখা অন্যদিকে রবীন্দ্র- নজরুল, মোশাররফ -কাঙ্গাল, মুজিব- মাহাত্মা দের সাথে বাঘাযতীন, সিরাজউদ্দৌলা, টিপু সুলতান, আকবর আর বাংলার চিরচেনা চির নূতন বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্ সব কিছুই ফুটে ওঠে শোভাযাত্রায়।
অতীতের ভুল ত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় প্রতিবছর পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়। এবছর বাঙালির প্রাণের এই উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্ণ হল। এবারে শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ছিল-“আমরা তো তিমিরবিনাশি”
উপজেলা প্রশাসন কুমারখালীর আয়োজনে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুল হক ,কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম,সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মেরিনা আক্তার মীনা, মুক্তিযোদ্ধাগণ ,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস নাজনীন, কুমারখালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিনয় কুমার বিশ্বাস, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ, স্কুল কলেজের শিক্ষক- ছাত্রছাত্রী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এছাড়াও ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।