ধর্ষণের কারনে নববধূ ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাসর রাতেই ফাঁস

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৩৯ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৩৯ এএম
ধর্ষণের কারনে নববধূ ৮মাসের অন্তঃসত্ত্বা বাসর রাতেই ফাঁস
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নববধূ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি বাসর রাতে বুজতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী মমিন মিয়া। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে এলাকা বাসীর চাপে নববধূর পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের ঘরে এখন তালা ঝুলছে। পরিবারের পক্ষথেকে দাবি করেন মেয়েটি ধর্ষনের শিকার হয়েছিল। বিচ্ছেদের ঘটনার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন শনিবার (১০ফেব্রুয়ারি)ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নম্বরওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম মিয়া তালুকদার।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে নববধূ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিষয়টি বাসর রাতে বুজতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে  স্ত্রীকে তালাক দিলেন স্বামী মমিন মিয়া। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হলে এলাকা বাসীর চাপে নববধূর পরিবার এলাকা ছেড়ে  পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তাদের ঘরে এখন তালা ঝুলছে। পরিবারের পক্ষথেকে দাবি করেন মেয়েটি ধর্ষনের শিকার হয়েছিল। বিচ্ছেদের ঘটনার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন শনিবার (১০ফেব্রুয়ারি)ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নম্বরওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম মিয়া তালুকদার। 


ঘটনার সূত্রে জানাযায়, গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলারফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সকদিরামপুর গ্রামের কৈলা বাড়ীর কৃষক সফিকের মেয়ে স্মৃতি আক্তারের সাথে বিয়ে হয় চাঁদপুরের মমিন মিয়ার।বিয়ের দিন বাসর রাতে মমিন মিয়ার সন্দেহ হয় স্ত্রীর প্রতি।পরে পারিবারিক ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হলনা।১০ ফ্রেব্রুয়ারী শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার পর প্রকৃত ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। পরে স্বামী মমিন মিয়া উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্রকরে স্ত্রী স্মৃতিকে তালাক দেন।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম মিয়া জানান, মেয়ের বাবা শফিক মিজি একজন কৃষক। তার ৪জন মেয়ে সন্তান রয়েছে।গত শুক্রবার (২ফেব্রুয়ারী) ৩য় মেয়ে স্মৃতি আক্তারকে চাঁদপুরের পুরান বাজারে বিয়ে দেন। এদিকে ৩ বছর পূর্বে বড় দুই মেয়ের বিয়ে দেন তিনি।

শফিক স্মৃতির বাবা জানান, তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। তখন তিনি তার বাড়ীর লিটন নামের এক যুবকের কথা জানান।   এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।নববধূ স্মৃতি আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে গনমাধ্যমকে জানান, গত এক বছরের মধ্যে আমাদের বাড়ির লিটন, ইলিয়াছ মাষ্টার, শিমুল ও এলাকার রনি নামে যুবকরা তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে।এদিকে বর মমিনের মা জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরী করে। ছেলের বিয়ের পূর্বে এমন কোন ঘটনা তারা জানতেন না। বিয়ের পর এখন ছেলের বউয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। পরে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করানো হলে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি ফাঁস হয়।শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে এবং আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখা যায় স্মৃতি ৮ মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। আমার ছেলে বাধ্য হয়ে ওই মেয়েকে তালাক দিয়েছে।


এদিকে স্মৃতিকে বাড়িতে আনার পর লোকজনের মধ্যে সমালোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে আশেপাশের  লোকজনের চাপে পরিবারটি বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী জানান, এই ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি লোকমুখে শুনেছি। মেয়ের বাবা কৃষক সফিক ও বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়ে যাদের নাম বলেছে তারা অনেকেই বখাটে প্রকৃতির। এরা ধর্ষণের সাথে জাড়িত আছে কিনা জানিনা। আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করলে সহায়তা করবো।এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:সাইদুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, এ ধরনের ঘটনা শুনেছি।বিষয়টি জেনে ভিকটিমকে খোজ করে পাওয়া যায়নি।ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo