কাশিমপুর থানায় ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ

ইব্রাহিম খলিল প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী , ২০২৫ ২১:৫৯ আপডেট: ২৬ জানুয়ারী , ২০২৫ ২১:৫৯ পিএম
কাশিমপুর থানায় ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার অভিযোগ
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানায় একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় আদালতে প্রেরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানায় একজন ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে ১০ দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় আদালতে প্রেরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে গাজীপুর মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী রোজিনা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গাজীপুর মহানগরের সারদাগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী শাহ আলমের (৪২) স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৭) বলেন, গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ দুপুরে আমার সঙ্গে আমার স্বামীর ঝগড়া হয়। এতে আমার পরিবারের লোকজন আমার স্বামীকে বোঝানোর জন্য পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে কাশিমপুর থানায় ফোন করে। বেলা ২টার দিকে কাশিমপুর থানার ৩জন পুলিশ এসে আমার স্বামীর হাতে হাতকড়া লাগিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ওই দিনই আমার স্বামীকে থানা থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে আমার স্বামী শাহ আলমের ভাগ্নে শিমুল খান কাশিমপুর থানা গেলে কনস্টেবল শফিক ২ লাখ টাকা দাবি করেন। এর পর বিভিন্ন সময়ে আমার স্বামী শাহ আলমের ভাগ্নে শিমুল খানের কাছ থেকে কাশিমপুর থানার কনস্টেবল শফিক ৫০ হাজার টাকা আদায় করলেও আমার স্বামীকে ছাড়েননি। আমরা বার বার কাশিমপুর থানায় গিয়ে ধরনা দিয়েছি এবং অনেক অনুনয়-বিনয় করলেও কনস্টেবল শফিক আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দেন। পুলিশের চাহিদামত টাকা দিতে না পারায় গত ০৫ জানুয়রি ২০২৫ তারিখে কাশিমপুর থানার সাব-ইন্সস্পেক্টর মো. মিজানুর রহমান আমার স্বামীকে (কাশিমপুর থানার মামলা নম্বর জিআর ১৭৩, তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২৪) অজ্ঞাতনামা ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন জানিয়ে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করেন। এতে আদালত আমার স্বামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। প্রকৃতপক্ষে,  ওই জিআর ১৭৩ নম্বর মামলার ঘটনার সময় ৩১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আমার স্বামী শাহ আলম অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে আটক ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহ আলমের দুই শিশু সন্তানও উপস্থিত ছিলেন। রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার, ক্ষতিপূরণ চেয়ে গণমাধ্যম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo