সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ১নং আলীনগর ইউনিয়নের রামধা বাজার এলাকার প্রধান সড়কটি ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে খুঁড়ে রেখে কোনো সংস্কারকাজ শুরু না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দিনদিন এ রাস্তার অবস্থা আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।
সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাস্তাটি খোঁড়ার মাধ্যমে কাজ শুরুর ইঙ্গিত মিললেও, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি এখানেই থেমে আছে। এরই মধ্যে কেটে গেছে অর্ধ-বর্ষকাল, অথচ প্রকল্পের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ—স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অফিসগামী সাধারণ মানুষ, রোগী এবং নারী ও বয়স্ক ব্যক্তি চলাচল করেন। বিশেষ করে এই রাস্তা সংলগ্ন একটি মহিলা মাদ্রাসার ছাত্রীদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় এই ভাঙাচোরা পথে। বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাটি কাদামাখা ও পানিতে ডুবে যায়, অনেক সময় হাঁটাচলা করাও সম্ভব হয় না। এতে নারীদের চলাচল হয়ে পড়ে চরম দুর্বিষহ। প্রশ্ন জাগে, আমাদের মা-বোনেরা কি এই দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন চলাচলের যোগ্য?
এই অব্যবস্থাপনার দায়ভার কে নেবে? উন্নয়নের নামে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, অথচ কাজের অগ্রগতি নেই—এতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো ছাড়া কোনো কল্যাণ হয়নি। এলাকাবাসীর মনে এখন শুধুই হতাশা, ক্ষোভ আর চাপা রাগ।
আমরা স্থানীয় নাগরিক হিসেবে, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি—
অবিলম্বে এই রাস্তার কাজ পুরোদমে শুরু করতে হবে।
জনগণের করের টাকায় পরিচালিত এই প্রকল্প যেন জনগণের ভোগান্তির কারণ না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমি, ইয়াহইয়া আল মামুন, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই বিবৃতি ও প্রতিবাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উন্নয়ন হোক—তবে তা যেন জনগণের দুর্ভোগে পরিণত না হয়।
এটা শুধু রাস্তার দাবি নয়—এটা একজন মা, একজন শিক্ষার্থী, একজন রোগী, একজন শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকারের দাবি।
