চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুইজনের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারি) চাঁদপুরের বিচারিক আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম’র আদালতে এই আদেশ দেন। এসময় তাদের কে চাঁদপুরের আদালত থেকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, চাঁদাবাজি মামলায় চাঁদপুরে হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে ফরিদগঞ্জের চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চাঁদাবাজির মামলায় বাকি আসামীদের জামিন প্রদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চর দুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের জনৈক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে চাঁদপুর জুডিশিয়াল আদালতে (সিআর মামলা নং ৪৪০/২৩) দায়ের করেন। মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.শাহজাহান মাস্টার ও ইউপি সদস্য মো. আবদুস সাত্তারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। আদালত মামলা গ্রহণ করে পিবিআই’কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক পুলক বড়ুয়া বলেন, আদালত কর্তৃক মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে মামলাটির তদন্ত করি। মামলার বাদী আলমগীর হোসেন’র স্ত্রীকে বেআইনীভাবে আঁটকে রেখে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ করে। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। মামলার বাদী আলমগীর হোসেন জানান, আমার স্ত্রীকে আটকে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ ১১জন মিলে আমার কাছে থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা নেয়। আমি কোন উপায় না পেয়ে আদালতে চেয়ারম্যানসহ ১১জনের বিরোদ্ধে চাঁদবাজির মামলা দায়ের করি। মামলায় পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) আদালত মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করে। শুনানী শেষে আদালত ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মাস্টার ও ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার’র জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এদিকে ওই চেয়ারম্যনের বিরোদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির কথা জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসি। উল্লেখ্য সম্প্রতি, সময়ে ওই চেয়ারম্যানের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় একই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইমাম হোসেন হাসানকে মারধর করার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।