অধিগ্রহণ ছাড়াই জমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন।

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর , ২০২৪ ১৮:১৬ আপডেট: ২৩ অক্টোবর , ২০২৪ ১৮:১৬ পিএম
অধিগ্রহণ ছাড়াই জমি দখলের অভিযোগে মানববন্ধন।
মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণ না করে অবৈধভাবে দখল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী।

মাদারীপুরে ভূমি অধিগ্রহণ না করে অবৈধভাবে দখল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন কর্মসূচিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে পালিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৫৯ সালে সদর উপজেলার ১২৩নং কুকরাইল মৌজার বিআরএস ৪৯১ নং খতিয়ানে৫৮০নং দাগের শতাংশ জমি পৈত্রিকসূত্রে ক্রয় করেন  সোনামদ্দিন চৌকিদারের ছেলে ছোহরাব চৌকদার। যার দলিল নং ৪৭৯৯, আর এস খতিয়ান নং ৫৩৩/, এস খতিয়ান নং ৪১০ (সাবেক ৪০১) ওই জমি অধিগ্রহণের জন্য জজকোর্ট শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারের নামে রেকর্ডভুক্ত করে গণপূর্ত বিভাগ। এছাড়াও পরিমাপ না করেই দেয়াল নির্মাণ করে। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ডিসি অফিসের এস. শাখা ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল তারিখের স্মারক উল্লেখ করে গণপূর্ত বিভাগ কে প্রতিবেদন দাখিল করলে আজও কোন উত্তর পাওয়া যায় নি। বিগত বছর একাধিকবার ডিসি অফিসে যোগাযোগ করে গণপূর্ত বিভাগের কোন সাহায্য না পেয়ে ২০০৪-২০০৫ সালে মিস কেস এবং এল. কেস করে অব্যবহৃত অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি পুনরায় গ্রহণক্রমে সরকারের খাতে আনয়ন এর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হইলেও তার জমির দাগ মিলে নাই। এছাড়া আদালত কোনো পদক্ষেপ প্রতিবেদন না দেওয়ায় হতাশার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবিষয়ে সরকারের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী।ভুক্তভোগী ছোহরাব চৌকদার বলেন, এই জমিটির আরএস এসএ বাবার নামে, বিআরএস আমার নামে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি খাজনা দিয়েছি। আজ ১৫ বছর যাবত আমার খাজনা নেয় না। খাজনার জন্য অনেক হয়রানি করেছে। খাজনা নেয় না। সরকারের কাছে আমার জোড় দাবি, হয় আমার জমি চাই, নয় টাকা চাই। আব্দুর রহমান বাহাদুর জানান, সরকারের এমন একটি গুরত্বপূর্ণ জায়গায় অফিস জমি অধিগ্রহণ করবে না, এটা হতে পারে না। আমরা চাই জমিটি অধিগ্রহণ করে নেওয়া হোক।মাদারীপুর গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) মোঃ দেলোয়ার মাহফুজ সোহাগ জানান, এই ধরনের তথ্য ডিসি অফিস জেলা জজকে দিয়েছিল। আমরা একটি অনুলিপি পেয়েছি। সার্ভেয়ার ডেকে ওনি ওনার জায়গা বের করা তাহলে তো আমরা বুঝতে পারবো এই জায়গা সড়কের না ওনার। ওনার জমি মার্ক করলেই সব সমাধান হয়ে যাবে। বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo