অঘটনের পর টনক নড়ে প্রশাসনের

মোঃ আঃ রহিম জয় চৌধুরী প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৩৯ আপডেট: ২০ জানুয়ারী , ২০২৪ ০৭:৩৯ এএম
অঘটনের পর টনক নড়ে প্রশাসনের
বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিজাত হাসপাতাল থেকে শুরু করে মফস্বলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হাসপাতাল—সর্বত্রই এই অভিযোগ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে গড়ে ওঠেনি শক্তিশালী কাঠামো। অঘটনের পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য প্রশাসন। তখন জানা যায়, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনই নেই। প্রশ্ন ওঠে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দক্ষতা নিয়েও। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। শুরু হয় তৎপরতা। অভিযানে বন্ধ হয় কয়েকটি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। শোরগোল থেমে গেলে সেগুলো ফের চালু হয় নতুন কিংবা পুরোনো পরিচয়ে।

বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিজাত হাসপাতাল থেকে শুরু করে মফস্বলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হাসপাতাল—সর্বত্রই এই অভিযোগ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে গড়ে ওঠেনি শক্তিশালী কাঠামো। অঘটনের পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য প্রশাসন। তখন জানা যায়, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনই নেই। প্রশ্ন ওঠে কর্তব্যরত চিকিৎসকের দক্ষতা নিয়েও। এরপর টনক নড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। শুরু হয় তৎপরতা। অভিযানে বন্ধ হয় কয়েকটি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। শোরগোল থেমে গেলে সেগুলো ফের চালু হয় নতুন কিংবা পুরোনো পরিচয়ে।


সম্প্রতি রাজধানীর সাঁতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর জানা যায়, হাসপাতালটির নিবন্ধন নেই। সাময়িকভাবে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে অধিদপ্তর। আয়ানের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। তারা আরও দুদিন সময় চেয়েছেন। আলোচিত এই কাণ্ডের পর আবারও সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। সারা দেশে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা চেয়েছেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শিগগির নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।


এর আগে গত বছর জুনে রাজধানীর ধানমন্ডি সেন্ট্রাল হাসপাতালে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর পর অভিজাত ওই হাসপাতালের আইসিইউসহ বেশ কিছু বিষয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল হাসপাতালটির অপারেশন থিয়েটার। এরপর সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকের খোঁজে মাঠে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা উদ্ঘাটিত হওয়ার পর জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই চলছিল ওই হাসপাতাল। একই বছরের নভেম্বরে ঢাকার আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে বরিশাল মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর জানা যায়, ওই হাসপাতালের সেবা দেওয়ার অনুমোদন নেই। এরপর সারা দেশে অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তালিকা পাঠাতে বিভাগীয় পরিচালকদের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।তাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে লাইসেন্সবিহীন


ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একটি তালিকা তৈরি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই তালিকায় সারা দেশের ১১ হাজার ৯৪০টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম আসে। যারা অনুমোদন এবং যথাযথ সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছিল সে সময়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সে সময় বলেছিল, ওই তালিকায় থাকা ২ হাজার ৯১৬টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক লাইসেন্সের জন্য কোনো আবেদনই করেনি। ৯ হাজার ২৪টি হাসপাতাল-ক্লিনিকের মধ্যে কোনো কোনোটি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করলেও এখনো অনুমোদন পায়নি। আবার কোনোটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ। সেই অর্থে সেগুলোও অবৈধ।


অনুমোদনহীন যেসব চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র তখন চিহ্নিত করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৩ হাজার ৫৩৫টি ছিল ঢাকা বিভাগে, ২ হাজার ২৩২টি চট্টগ্রাম বিভাগে, ১ হাজার ৫২৩টি খুলনা বিভাগে, ১ হাজার ৪৩৮টি রাজশাহী বিভাগে, ১ হাজার ৯৯টি রংপুর বিভাগে, ৯৬৩টি ময়মনসিংহ বিভাগে, ৬০৩টি বরিশাল বিভাগে এবং ৫৪৬টি সিলেট বিভাগে। ওই তালিকা হওয়ার পর কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে আড়াই হাজারের মতো অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ক্লিনিককে জরিমানা করা হয়।এরপর ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর রোগী সেবা নিশ্চিত এবং অনিয়ম বন্ধে দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের সাইনবোর্ডে তাদের লাইসেন্স নম্বর যুক্ত করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশনা কেউ মানছে না। কোনো হাসপাতাল-ক্লিনিকের সাইনবোর্ডে নেই নিবন্ধন নম্বর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এসব খতিয়ে দেখতে যায়নি। তবে সম্প্রতি শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর আবার নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।


গত ১৫ জানুয়ারি অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তথ্য পাঠাতে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এ সম্পর্কিত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত অনিবন্ধিত (লাইসেন্স বিহীন) বেসরকারি- হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ মেডিকেল অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস অর্ডিন্যান্স পাস হয়। এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালানো যাবে না। এই নীতিমালা রহিত করে ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও গত ৮ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।


জনস্বাস্থ্যবিদদের মতে, বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্য চলছে। মফস্বলে অভিযান হয় লোক দেখানো। কারণ সেখানে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সরাসরি কিংবা পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে চিকিৎসকরা যুক্ত থাকেন। আর শহরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদরা যুক্ত থাকেন। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে-বেনামে বিনিয়োগ থাকায় অভিযান-পরবর্তী তদারকি আলোর মুখ দেখে না। এজন্য তারা দায়ী করেছেন শক্তিশালী আইনের অনুপস্থিতিকে।


শিশু আয়ানের মৃত্যুর অভিযোগের আগে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বছর ৬৩ বছর বয়সী গালফ এয়ারের পাইলট ইউসুফ হাসান আল হিন্দি নামে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডানের দ্বৈত নাগরিকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। হিন্দির বোন তালা এলহেন্দি জোসেফানো ভুল চিকিৎসায় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন। জোসেফানোও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, তিনি কাজ করেন ব্রিটিশ সরকারের একটি দপ্তরে। ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ চিকিৎসা এবং রোগীর স্বজনদের সঠিক তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ আনেন তিনি।এক যুগ আগে ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল চিত্রনায়ক আসলাম তালুকদার মান্নার মৃত্যুর পর। ২০০৮ সালে মান্না বুকে ব্যথা নিয়ে বেসরকারি ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। ভর্তির কয়েক ঘণ্টা পর সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মান্নার স্ত্রীর ভাই রেজা কাদের মামলা করেছিলেন। তাতে ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিচারও শুরু হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ এলে মামলা ঝুলে যায়।


মান্নার মতোই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল ক্যাপ্টেন ইউসুফ আল হিন্দির। তিনি গালফ এয়ারের ফ্লাইট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ভোরে তার ফ্লাইট নিয়ে ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল। ওইদিন ভোর ৪টা ২০ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি হঠাৎ পড়ে যান। বিমানবন্দরে তাকে পাঁচ মিনিট কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়া হয়। তার রক্তচাপ ক্রমশ কমতে থাকলে তাকে নেওয়া হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। হিন্দির বোন হাসপাতালটির লাইসেন্স বাতিলের দাবিও জানান।এখানেই শেষ নয়। ২০২০ সালের এপ্রিলের শেষের দিকে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জিয়াউদ্দিন হায়দারের মায়ের মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, আমার মায়ের মৃত্যুর ন্যায়বিচার দাবি করছি। তার মা মাহমুদা খানমকে (৭৫) ১২ এপ্রিল ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তার কভিড পজিটিভ এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে যেতে স্বজনদের ওপর চাপ দিতে থাকে। ওইদিন দুপুর ২টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার মায়ের ভেন্টিলেশন খুলে নেয়। এরপর তাকে কুয়েত মৈত্রী ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ২৩ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


গত বছর জুনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মাহবুবা রহমান আঁখি (২৫) ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা এবং গ্রিন লাইফ হাসপাতালে ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খানের (৫১) মৃত্যুর ঘটনায় বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। দুই পরিবার স্থানীয় থানায় মামলা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি) অভিযোগ দায়ের এবং উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক ও সিনিয়র জনস্বাস্থ্যবিদ অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, অভিযান শুরু হয় কিন্তু তদারকি করা হয় না। কারণ স্বাস্থ্যসেবা ব্যবসার সঙ্গে চিকিৎসা প্রশাসন ও রাজনীতিবিদরা সংশ্লিষ্ট। শক্তিশালী আইন ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের সমাধান সম্ভব নয়। সরকারকে এ বিষয়ে জোর দিতে হবে।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সারা দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে। এরই মধ্যে বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা সাত দিনের মধ্যে তালিকা পাঠানোর পর অভিযান শুরু হবে।স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সব অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনিস্টিক সেন্টারসহ অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। দেশে কতগুলো অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। যতগুলোই থাকুক বন্ধ করে দিতে হবে। অভিযানের আগেই অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মালিকরা নিজেরাই যদি বন্ধ করে দেয় ভালো। না হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo