তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে গোটা কুড়িগ্রাম। টানা পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন।
ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। শীত ও কুয়াশার দাপটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রচণ্ড শীতে কাজের সংকটে পড়েছেন দিনমজুররা।
সদর উপজেলার ঘোগাদহ এলাকার দিনমজুর আব্দুল মজিদ বলেন, এত ঠান্ডায় সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। কাজ না থাকলে পরিবার নিয়ে খুব বিপদে পড়তে হয়। একই অবস্থা কৃষকদেরও। রাজারহাট উপজেলার এক কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে মাঠে কাজ করা যাচ্ছে না। ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ছে।
শীতের প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপরও। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের এক শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, সকালে কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। অনেক অভিভাবকও তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার দাপটে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে জেলার ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী সাড়ে চার শতাধিক চরের কয়েক লাখ মানুষ। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে তারা চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
কুড়িগ্রামের বাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।