ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর অংশে গাছ ফেলে অবরোধ ও ককটেল বিস্ফোরণের কারণে স্থবির হয়ে পড়া প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে অভিযান পরিচালনা করে সড়ক পরিষ্কার করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে মস্তফাপুর ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকা থেকে ভূরঘাটা পর্যন্ত অন্তত আটটি স্থানে সড়কের ওপর বড়ো বড়ো গাছ ফেলা হলে এতে মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হলে সেখানে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচিকে ঘিরে রাতেই বিভিন্ন স্থানে গাছ কেটে ফেলে রাখা হয় এবং কিছু এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ার জ্বালানোর ঘটনাও ঘটে, যা জনগণের মনে আতঙ্ক তৈরি করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মাদারীপুর সদর ও কালকিনি ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট সড়কে নামেন। গাছ অপসারণের জন্য স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী লোকজনও স্বেচ্ছায় সহায়তা করেন।
তারা বলেন, জনগণের কষ্ট হয় এমন কিছু হওয়া ঠিক না। বিশেষ করে সরকারি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করা আরও অন্যায়। এগুলো জনগণের সম্পদ।
স্বেচ্ছাসেবীরা দাবি করেন, সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে মহাসড়ক বন্ধ করা অযৌক্তিক এবং এতে পরিবেশ ও সরকারি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর শেখ আহাদুজ্জামান জানান, বিস্তৃত এলাকা জুড়ে বড় আকারের গাছ পড়ে থাকায় অপসারণে সময় লেগেছে। একাধিক দল কাজ করায় দ্রুত সড়ক পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।
ডাসার থানার ওসি শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কেটে রাখা গাছের গুঁড়ি ও ককটেলের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সক্রিয় বিক্ষোভ দেখা না গেলেও কিছু এলাকায় বিস্ফোরণের প্রমাণ রয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়—মহাসড়কসংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম ফারুক এবং কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হাওলাদার। ভিডিওতে তারা শাটডাউন কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, যে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি এলাকায় নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে।