২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষ বাড়ি- ঘর ভাংচুরঃ মহিলা সহ আহত- ১০

নাজিম বকাউল প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৮:০৬ আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৮:০৬ এএম
২ গ্রামবাসীর  সংঘর্ষ বাড়ি- ঘর ভাংচুরঃ মহিলা সহ আহত- ১০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলা সহ ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৭/৮ টি বাড়ি- ঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা বাজার সংলগ্ন স্থানে বাররা ও ফুকুরহাটি গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষের ফলে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মর্জিনা বেগম(৪৫), রেহানা বেগম (৪০), মুন্নি আক্তার (২০) ও আলামিন মীরকে (২২) পার্শ্ববর্তী সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে  ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মহিলা সহ ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৭/৮ টি বাড়ি- ঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়। শুক্রবার  সন্ধ্যায় নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বাররা বাজার সংলগ্ন স্থানে  বাররা ও ফুকুরহাটি গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষের ফলে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মর্জিনা বেগম(৪৫), রেহানা বেগম (৪০), মুন্নি আক্তার (২০)  ও আলামিন মীরকে (২২) পার্শ্ববর্তী সদরপুর  হাসপাতালে ভর্তি এবং  বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া   হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, স্থানীয় বাররা  গ্রামে ১২৭ তম শাহ সূফী হযরত রহমান ফকিরের ওরশ মোবারক উপলক্ষে মেলার আয়োজন চলছিল । শুক্রবার বিকেলে  বাররা গ্রামের আলামিন সঙ্গীয় মুন্নার সাথে ফুকুরহাটি গ্রামের নুরু খাঁর ছেলে রতনের সাথে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে  কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে  আলামিনের দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওরস আয়োজন  স্থলে চলে আসে। এ সময়  মেলায় আগত লোকজন ও ফুকুরহাটি গ্রামের লোকজন সম্মিলিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে।  পরে দু,পক্ষের মাধ্য সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আলামিনের পক্ষের ৭/৮ টি বাড়ি ঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার  রাতেই ঘটনা স্থলে গিয়ে  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
 এঘটনায় বাররা গ্রামের আলামিন, বারেক মীর, লুৎফর মীর, জব্বার মীর, জহুর জমাদ্দার , ইউনুস জমাদ্দার ও মর্জিনা বেগমের বাড়ি- ঘর ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়। 

এ ব্যাপারে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নআওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাররা গ্রামের আলামিন জানান, আমরা কাজী জাফরউল্লার নৌকার নির্বাচন করেছি। আর ফুকুরহাটি  গ্রামের রতন ও জুয়েল নিক্সন চৌধুরীর ঈগল প্রতীকের নির্বাচন করেছে । আমরা নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় আমাদের উপরে হামলা করে তারা। 

এবিষয় স্থানীয় নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক জানান, বাররা বাজার প্রতিবছর রহমান শাহের ওরশ উপলক্ষে মেলা আয়োজন করা হয়।  উক্ত মেলায় বাররা গ্রামের আলামিন ও মুন্নার সাথে পার্শ্ববর্তী পুকুরহাটি গ্রামের নুরু খাঁর ছেলে রতন খাঁ সাথে কথা কাটাকাটির জেরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে । এতে মেলার লোকজন  রতনের পক্ষ নিয়ে আলামিনসহ কয়েকজনকে  ধাওয়া করে 

এ বিষয়ে শনিবার  ভাঙ্গা থানার উপ- পরিদর্শক  আব্দুল হক জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাররা গ্রামের আলামিন ও ফুকুরহাটি গ্রামের রতনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় । এ নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে । রাতেই ভাঙ্গা থানায় একটা অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত-পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদ জানান জানান , আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের  ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo